মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রেল লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হচ্ছে একের পর মহিলার,রহস্যে মোড়া এমনই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্যা কেবিন গার্ড’

News Sundarban.com :
নভেম্বর ১১, ২০১৯
news-image

নাম গণেশ, অটো চালানোই তার পেশা, এর থেকেই আসে তাঁর রুজি-রুটি। বিয়ে না করেও দুর্গাপুর সংলগ্ন এলাকার এক কলোনিতে প্রেমিকাকে নিয়ে থাকে গণেশ। এভাবেই দিব্যি কাটছিল গণেশের জীবন। এদিকে, গণেশেরই বন্ধু চিন্ময় দুর্গাপুর ও ওয়ারিয়া স্টেশনের মাঝের একটি রেল গেটের লেবেল ক্রসিংয়ে রক্ষীর দায়িত্বে রয়েছে। চিন্ময় যে লেবেল ক্রসিংয়ের দায়িত্ব সামলায়, সেই লেবেল ক্রসিংয়ে সামনেই রেলে কাটা পড়ে একের পর এক মহিলার মৃত্যু হতে থাকে। ছবির ট্রেলারে এমনই একটা কাটা পড়ার ঘটনা দাগ কাটে গণেশের মনে, তা নিয়েই বন্ধু চিন্ময়কে প্রশ্ন করেতে দেখা যায় চিন্তিত গণেশকে। কেন ওই রেল লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হচ্ছে একের পর মহিলার? রহস্যে মোড়া এমনই একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে হইচই অরিজিনালের নতুন সিনেমা ‘দ্যা কেবিন গার্ড’।

‘সিরিয়াল কিলিং’, রহস্য, যৌনতা সব রসদই রয়েছে ‘দ্যা কেবিন গার্ড’-এর গল্পে। ৮ নভেম্বর থেকে SVF-এর ওয়েব প্লার্টফর্ম ‘হইচই’-এ দেখা যাচ্ছে ছবিটি। এবিষয়ে পরিচালক সুদীপ্ত রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ”’দ্যা কেবিন গার্ড-ছবিটি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এবং এটিকে একটি ‘সিরিয়াল কিলিং’-এর গল্পও বলা যেতে পারে।” তাঁর কথায়, ”ছবির মূল গল্পটাই এগোবে লেবেল ক্রসিংয়ের রক্ষী চিন্ময় পালিতকে কেন্দ্র করেই। যাঁর স্ত্রী চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারপর তাঁর জীবনে আরও বেশকিছু ঘটনা ঘটে যায়। রহস্যে ভরা সম্পূর্ণ এই গল্প জানতে হলে দ্যা কেবিন গার্ড ছবিটি দেখতেই হবে।”

দ্যা কেবিন গার্ড ছবিটির শ্যুটিংও দুর্গপুর ও ওয়ারিয়া সংলগ্ন এলাকাতেই হয়েছে বলে জানান পরিচালক সুদীপ্ত রায়। ছবিতে অটো চালক গণেশ, লেবেল ক্রসিংয়ের রক্ষীর ভূমিকায় দেখা গেছে প্রীতম গঙ্গোপাধ্যায় ও দেবপ্রসাদ হালদারকে। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্র যেমন চন্দনার ভূমিকায় মধুরিমা ঘোষ, দীপার ভূমিকায় শতাক্ষী নন্দী এবং দীপালির ভূমিকায় দেখা গেছে রাজেশ্বরী পালকে। তবে এই ছবির বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীই প্রায় নতুন বলেই জানিয়েছেন পরিচালক। ‘দ্যা কেবিন গার্ড’-এর সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন অগ্নিপ্রভ নাথ ও শুভদীপ দে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শমিক গুহ রায়। সাউন্ড ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন শুচিশুভ্র সেন এবং সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন অনিবার্ণ মাইতি।