শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তীব্র ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দিঘার কাছে আছড়ে পড়বে

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৮, ২০১৯
news-image

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিপথ নিয়ে প্রথম থেকেই বেশ খানিকটা ধন্দে রয়েছেন আবহবিদরা। বার বার খালি গতিপথ পরিবর্তন করছে বুলবুল। শেষ উপগ্রহ চিত্র বলছে, অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়ে দিঘার কাছে আছড়ে পড়বে বুলবুল। হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০ – ১৭০ কিলোমিটার।

বুলবুলকে মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে জেলা প্রশাসন। রামনগর ১ ব্লক প্রশাসন ইতিমধ্যেই বুলবুল মোকাবিলায় একটি বৈঠক করেছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, আপদমিত্রদের নিয়েও বৈঠক করা হয়েছে।  উপকূলের চারটি থানাতেও চলছে দফায় দফায় বৈঠক। পদিমা ১,পদিমা ২, তালগাছাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে চলছে মাইকিং।  দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সৈকতে পর্যটকদের নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রস্নানে বারণ করা হয়েছে। নুলিয়া সহ দিঘা, দিঘা কোস্টাল, রামনগর ও মন্দারমনি কোস্টাল থানার পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে সৈকতগুলিতে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’- এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে মৎস্যজীবীদের আগামীকাল থেকে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে যেতে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়েছে। শনি ও রবিবার সুন্দরবন বদ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রে যেতে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হচ্ছে। যে সকল মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে আছেন তাঁদের আজই সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে দিঘা, মন্দারমণি, তালসারি, শঙ্করপুর, বকখালি, সাগরদ্বীপে শনি ও রবিবার পর্যটকদের সমুদ্রে নামা ও সমুদ্র স্নান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছে কেন্দ্র। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। বুলবুলের তাণ্ডব মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে এই দিনের বৈঠকে।

তিন রাজ্যের মুখ্যসচিব ছাড়া বৈঠকে ছিলেন ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কর্তা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের আধিকারিকরা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সকলকে সরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রের ধারের গ্রামগুলিকে খালি করে দেওয়া হচ্ছে। আরোপ করা হয়েছে নানারকম বিধিনিষেধ।