শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহরবাসীর উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ,দেবতাদের মূর্তিতে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বারানসীর বাসিন্দারা

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৬, ২০১৯
news-image

বায়ুদূষণ নিয়ে চিন্তিত দেশ। দিল্লিসহ দেশের বড় শহরে বিপদজনক সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় এলাকা বারানসীতেও। দূষণের ভুক্তোভোগী শুধু মানুষ নয়, দেবতারাও। না হেঁয়ালি নয়, এমনই অভিনবভাবে দেবতাদের মূর্তিতে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বারানসীর বাসিন্দারা। এ যেন দেবতাদের মূর্তিতে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বারানসীর বাসিন্দারা।এ যেন শহরবাসীর উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।

মানব শরীরে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা কারও অজানা নয়। সেই ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা হলেও কমাতে বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। তাই বলে দেবতারও মুখে মাস্ক! বারানসীর সিগড়াতে অবস্থিত কাশী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের কাছে শিব-পার্বতী মন্দির। সেখানে শিব-পার্বতী দুজনেরই মুখ ঢেকেছে কালো মাস্কে। এমন অভিনব পরিকল্পনা এল কোথা থেকে? এর পেছনে কারণই বা কী? মন্দিরের পুরোহিত হরিশ মিশ্র জানালেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ভক্তদের যৌথ উদ্যোগেই মাস্ক পরানো হয়েছে দেবতাদের মুখে। তিনি বললেন, “বারানসীতে আমরা দেবতাকে মানুষের মতো করেই ভাবি। গরমে তাঁদের শরীর ঠান্ডা রাখতে চন্দন লেপে দেওয়া হয়। শীতকালে সোয়েটার পরানো হয়।” সেই থেকেই তাঁদের মনে হয়, বায়ুদূষণে মানুষ যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, দেবতারাও নিশ্চই কষ্ট পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই প্রতিমাদের মুখ মুখোশে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু শিব-পার্বতীর মূর্তিই নয়, মুখোশে ঢাকা হয়েছে ভোলানাথ, দুর্গা, কালী এবং সাঁইবাবার মূর্তিও।

বুধবার বারাণসীতে বাতাসে দূষণ পরিমাপক সূচকের মাত্রা ১২৭। বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে এই মাত্রাকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। রোগী, বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই দূষণের মাত্রা বেশ ক্ষতিকর। প্রতিনিয়ত এই দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে।

এভাবে মূর্তিতে মাস্ক পরানোর মাধ্যমে মানুষের সচেতনতাও বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই। দীপাবলিতে গঙ্গার ঘাটে আতসবাজি জ্বালানোর প্রভাবে এক লাফে অনেকটাই দূষিত হয়ে যায় বারানসীর বায়ু। তাছাড়া ধর্মীয় স্থানে দেব-দেবীর মূর্তিতেও মাস্ক পরানো হলে যদি মানুষ একটু সচেতন হন, তাহলে মন্দ কী?