বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫ হাজার হোমগার্ডকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হল উত্তরপ্রদেশে

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১৬, ২০১৯
news-image

রাশিদ রিয়াজ 

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৫ হাজার হোমগার্ডকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হল। যদিও, ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুসারে তাঁদের কাজ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। দিওয়ালির আগে একসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের সব পুলিশ স্টেশন ও ট্রাফিক সিগন্যালে নিযুক্ত বিশাল সংখ্যক হোমগার্ডকে বরখাস্ত করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৫ হাজার হোমগার্ডকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হল। যদিও, ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুসারে তাঁদের কাজ দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে, হোমগার্ডে পাক চাকরির সুযোগ তাঁদের সামনে আর নেই।

রাজ্য সরকারের একটি সূত্রে খবর, পুলিশের বেতন কাঠামোর সঙ্গে সাযুজ্য রাখতে গিয়ে সম্প্রতি হোমগার্ডদেরও মাইনে বাড়ানো হয়। তার জেরে সরকারের খরচ একধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে যায়। যোগী সরকার এই খরচের বোঝা কমানোর জন্যই একসঙ্গে ২৫ হাজার হোমগার্ডকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেয়।

সরকারি এই সিদ্ধান্তের কারণে উত্তরপ্রদেশে নিযুক্ত মোট হোমগার্ডের সংখ্যা এক ধাক্কায় ৩২ শতাংশ কমে গেল। খরচ কমাতে গত ২৮ অগস্ট হোমগার্ডদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি নেয় সরকার। সেইমতোই এদিন বরখাস্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ৯০ হাজার হোমগার্ড কর্মরত। তাঁরা দৈনিক ৫০০ টাকা করে বেতন পান। এই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শীঘ্রই এই হোমগার্ডদের ২০১৬ সালের ডিসম্বর মাস থেকে বকেয়া বেতন দেওয়া হবে ৷ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শিগগির ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁদের বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে কয়েক দিন আগে ধর্মঘটে শামিল হওয়ার জন্য তেলেঙ্গানা সরকার রাজ্য পরিবহণ নিগমের প্রায় ৪৮ হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় । গত রবিবার রাতেই ওই কর্মীদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় তেলেঙ্গানার কেসিআর সরকার। কারণ এই পরিবহন ধর্মঘটকে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ” বলে চিহ্নিত করেন৷ ফলে তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে দেখা যায়৷