মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যৌন নিগ্রহের অভিযোগ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কমিটি গঠন করবে কেন্দ্রীয় সরকার

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১২, ২০১৮
news-image

MeToo আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসা যৌন নিগ্রহের অভিযোগগুলির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কমিটি গঠন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এই কমিটি গঠনের বিষয়ে জানান কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধি। তিনি জানান, বিচারবিভাগ ও আইন সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলে মানেকা গান্ধি লেখেন, “আমি প্রতিটি অভিযোগের পিছনে যে কষ্ট ও মানসিক আঘাত রয়েছে তা বিশ্বাস করছি। কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি যা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। নিগ্রহের যে অভিযোগগুলি সামনে এসেছে সেগুলির কয়েকটি তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন। এরপর অভিযোগকারীদের সেই কমিটি পরামর্শ দেবে তাদের কোথায় যেতে হবে। একই কমিটি আমাদেরও পরামর্শ দেবে এবিষয়ে ঠিক কী করণীয়।”চার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মি টু বা মহিলাদের যৌন হেনস্থা নিয়ে মামলার শুনানি করবেন গণ আদালতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী শুক্রবার একথা জানিয়েছেন ।এর পাশাপাশি, তিনি এও বলেন, তাঁর নারী কল্যাণ মন্ত্রক খুব শীঘ্রই সিনিয়র বিচারকদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করবে। সব ধরনের অভিযোগকেই খতিয়ে দেখা হবে। তিনি অভিযোগকারী মহিলাদের পক্ষেই রয়েছেন বলে মানেকা জানিয়েছেন। কতটা কষ্ট ও আতঙ্ক নির্যাতিতদের তাড়া করেছে তা তিনি আন্দাজ করতে পারছেন বলেও মত প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।মূলত বিনোদন জগতের পুরুষদের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগে অনেক মহিলা সরব হয়েছেন। এছাড়া সাংবাদমাধ্যম জগতের কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।ক্ষমতায় থাকাকালীন পুরুষরা এই ধরনের কাজ হামেশাই করে থাকেন। সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতির জগত, কেউই ব্যতিক্রম নয়।” এর আগে এই ব্যাপারে মন্তব্য এড়িয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

মানেকা গান্ধি বলেন, “১০-১৫ বছর পরও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ যাতে করা যায় সেই বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আপনার সঙ্গে খারাপ কিছু করেছে তাকে আপনি সবসময় মনে রাখবেন। তাই আমরা আইন মন্ত্রকে চিঠি লিখেছি যে অভিযোগগুলির কোনও সময়সীমা না দেখেই গ্রহণ করা উচিত।” নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “আপনি ১০-১৫ বছর পর অভিযোগ করতে পারেন। কতটা পরে সেটা কোনও ব্যাপার নয়। যদি আপনি অভিযোগ করতে চান তাহলে রাস্তা খোলা আছে। “