শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এখনই থামছে না কিষাণ ইউনিয়নের বিক্ষোভ আন্দোলন

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২, ২০১৮
news-image

মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে কয়েক হাজার কৃষক যাত্রা করেন রাজধানীর উদ্দেশ্য। তবে দিল্লি ঢোকার মুখে তাদের গাজিয়াবাদে আটকে দেয় পুলিস। তার পরেই পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় পুলিসের।ঋণ মকুব, সস্তায় বিদ্যুত সহ একাধিক দাবিতে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের বিক্ষোভ আন্দোলন এখনই থামছে না। সমস্যা সমাধানে রাজনাথ সিংয়ের মধ্যস্থতা প্রত্যাখান করল কৃষক সংগঠন।
কী দাবি ছিল কৃষকদের? ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের দাবি, কৃষকদের সস্তায় বিদ্যুত দিতে হবে, ঋণ মকুব করতে হবে, ৬০ উর্ধ্ব কৃষকদের পেনশন দিতে হবে এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। ওই সব দাবিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হরিদ্বার থেকে কিষাণ ক্রান্তি পদযাত্রা করে হাজার হাজার কৃষক। মঙ্গলবার তারা দিল্লি এসে পৌঁছায়। তাদের যাওয়ার কথা ছিল রাজঘাটে চৌধুরী চরণ সিং স্মৃতি সৌধ। পুলিস প্রতিবাদী কৃষকদের গাজিয়াবাদে দিল্লি গেটের কাছে আটকে দেয়।

কিষাণ ইউনিয়নের বিক্ষোভে তোলপাড় হওয়ার পর কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এএনআইকে বলেন, রাজনাথের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। রাজনাথজি কৃষকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন।
কৃষি প্রতিমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন জানিয়ে দেয় তারা স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মতো কৃষি পণ্যে ন্যূনতম বিক্রয় মূল্য ও ঋণ মকুবের ব্যাপারে কোনও আশ্বাস পাননি। সংগঠনের পক্ষে যুধবীর সিং বলেন, ১১টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাত্র ৭টি দাবি মানতে রাজি সরকার। এর জন্যই কৃষকদের আন্দোলন থামবে না।
এদিকে অচলাবস্থার জন্য সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। জানতা দল ইউনাইটেড নেতা কে সি ত্যাগী সংবাদমাধ্যমে বলেন, রাজঘাটে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠি চালিয়েছে পুলিস।এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই ভারতই কি গান্ধীজি চেয়েছিলেন?