৩২৮টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

২০১৬-র ১০ মার্চ ৩৪৪ রকমের FDC নিষেধ করেছিল সরকার। পরে তালিকায় আরও পাঁচ রকমের ওষুধ যোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি একাধিক হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যায়। ৩২৮টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরমধ্যে স্যারিডন সহ অন্য ওষুধও রয়েছে। ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশনের(FDC) এই ওষুধগুলির উৎপাদন বা বিক্রি কিছুই আর করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩২৮টি ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরমধ্যে স্যারিডন সহ অন্য ওষুধও রয়েছে। ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশনের(FDC) এই ওষুধগুলির উৎপাদন বা বিক্রি কিছুই আর করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুই বা তার বেশি ওষুধ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে এই ধরনের ওষুধগুলি তৈরি করা হত। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ন্যাপ্রক্সেন প্লাস প্যারাসিটামলের কথা। এই ওষুধটি দুই ধরনের ওষুধের মিশ্রণ। এককথায় বলতে গেলে, কোনও রোগীর একটি ওষুধের প্রয়োজন হলে তাঁকে অন্য ওষুধও খেতে হত। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
২০১৭-র ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি বোর্ডকে(DTAB) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলে। DTAB(দেশের সর্বোচ্চ ড্রাগ অ্যাডভাইজ়রি বডি) তাদের রিপোর্টে জানায়, ৩২৮টি ওষুধে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তার কোনও প্রয়োজন নেই। এই ধরনের ওষুধগুলির সেবনে ঝুঁকি রয়েছে। তারা ওষুধগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক। বাকি ১৫ রকমের ওষুধ নিয়েও যাতে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তার আবেদন জানানো হয়েছে।