আলুর জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ১ ব্লকে কয়েক বছর ধরে আলু ও ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। বিকল্প হিসাবে মাছ চাষ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। আলুর জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। সরকারি সহায়তায় মাছ ধরার সরঞ্জাম ও মাছের চারা পেয়েছেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছেন কৃষকরা। ১০০ দিনের প্রকল্পে জমিতে পুকুর কাটিয়েছেন কৃষকরা, মৎস্য দফতর থেকে মাছের চারা দিয়ে সাহায্য, আদিবাসীদের মাছ ধরার জাল, হাড়ি দেওয়া হয়েছে, মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার জন্য সাইকেলও দেওয়া হয়েছে।গত কয়েকবছরে আলু বা ধানচাষ করেও লাভের মুখ দেখেননি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ১ ব্লকের কৃষকরা। মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। চাষের ক্ষতিতে সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে। সেকারণেই আর আলু বা ধান চাষ করতে চাইছিলেন না তাঁরা। রাজ্য সরকারের সহায়তায় এবার গড়বেতার কৃষকরা বিকল্প পদ্ধতিতে আয়ের পথ পেয়েছেন। আলু বা ধানের বদলে মাছ চাষ করছেন তাঁরা। নিজেদের জমিতেই পুকুর কেটে মাছ চােষ সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। রুই, কাতলা , মৃগেল, মাগুর বা চিংড়ি চাষ করে লােভর মুখ দেখছেন কৃষকরা।
ধাদিকা, আগরা, সন্ধিপুর, শ্যামনগরে বছর খানেক ধরে চাষের জমিতে মাছ চাষ করছেন কৃষকরা। নতুন করে আমকোপা, আমলাগোড়া, বেনাচাপড়ায় মাছ চাষ শুরু হচ্ছে৷ গড়বেতা এক ব্লকে জলাজমির পরিমাণ বেশি। প্রায় তিনশো বিঘা জমিতে চলছে মাছ চাষ। মাঠে নয়, জলে শস্য ফলিয়ে সংসারে বেশি আয় হচ্ছে। বিকল্প আয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে সবহি চাষের চেয়ে মাছ চাষে লাভবান চাষিরা। যেখানে এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ ২৫ হাজার টাকা সেখানে এক বিঘা জমিতে ধান চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ। এক বিঘা জমিতে আলু চাষে দ্বিগুণ লাভ বা ক্ষতি হতে পারে, মাছ চাষে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে দ্বিগুণেরও বেশি লাভ।