এখন তেজপাতায় নতুন পরিচিতি মরিচবাড়ির
জলপাইগুড়ি জেলা চা চাষের জন্য বিখ্যাত হলেও কয়েকবছর ধরে জোরকদমে চলছে তেজপাতা চাষ। সরকারি উদ্যোগে চারা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছেন চাষিরা। জেলার গণ্ডি পেরিয়ে তেজপাতা পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরে রফতানি হয়েছিল আগেই। এবার দোমোহনীর মরিচবাড়ির তেজপাতার স্বাদ চাখছে দুবাইও। ইতিমধ্যেই প্যাকেটবন্দি হয়ে আরব সাগর পেরিয়েছে জলপাইগুড়ির তেজপাতা।
তিস্তাপাড়ের তেজপাতার দুবাই পাড়ি। এর আগে পাকিস্তানেও রফতানি হয়েছিল তেজপাতা। বিদেশে চাহিদা বাড়ায় লাভের মুখ দেখেছেন তেজপাতা চাষিরা। খুশি তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। চা চাষের জেলা হিসেবে পরিচিত জলপাইগুড়িতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে তেজপাতা চাষ। চারা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।
মরুশহর থেকে ১০০ টনের বরাত মিলেছে, প্রথম ধাপে তেজপাতা গিয়েছে ২৫ টন, পরে ধাপে ধাপে আরও পাতা রফতানি
এক সময় জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের এই গ্রাম কাঁচা লংকা চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন তেজপাতায় নতুন পরিচিতি মরিচবাড়ির।
বিদেশে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গ-সহ মুম্বই, হায়দরাবাদ, ওড়িশা, কেরল ও উত্তরপ্রদেশেও তেজপাতার কদর ভালই। জলপাইগুড়ির আবহাওয়া তেজপাতা চাষের অনুকূল, এই তেজপাতা ‘বেঙ্গল তেজপাতা’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর গড়ে ৪ থেকে ৫ মেট্রিক টন তেজপাতা চাষ। রাজ্য সরকার উৎসাহ দিয়েছে। তেজপাতা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আয় বেড়েছে কৃষকদের।