এবার নয়া উদ্যোগ সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে

পথ নিরাপত্তার বিষয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। রাস্তায় রাস্তায় এ সংক্রান্ত বিরাট আকারের প্রচার মূলক হোর্ডিং-এর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়েও ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার চলতে দেখা যায়। এবার নয়া উদ্যোগ সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে । বহু ক্ষেত্রে ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। তা ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। ডিভাইডার গুলিতে রিফ্লেক্টর বসাচ্ছে রাজ্য সরকার।এর ফলে বিশেষত রাতের শহরে চালকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। গোলপার্ক-ঢাকুরিয়ায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাজ। বেলাগাম গতি, কখনও মুহুর্তের অসতর্কতা। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা বলি হয় নিরীহ মানুষ। তাই সচেতনতা বাড়াতে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে জোর দিয়েছে সরকার। এবার সেই প্রকল্পের আওতায় নতুন উদ্যোগ ডিভাইডারে রিফ্লেক্টর লাগানো।
বিশেষ করে রাতের শহরে ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। অনেক সময় সামনেই যে ডিভাইডার, তা ঠাহর করে উঠতে পারেন না চালক। সেই সমস্যা দূর করতেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ডিভাইডারে রিফ্লেক্টর বসানো হবে। প্রাথমিক ভাবে গোলপার্ক থেকে ঢাকুরিয়া যাওয়ার রাস্তায় ডিভাইডারে বসানো হচ্ছে রিফ্লেক্টর। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। কলকাতা শহর জুড়ে ডিভাইডারে রিফ্লেক্টর বসানো হবে। গোলপার্কের পর সম্ভবত হাইড রোডে রিফ্লেক্টর বসানোর কাজ শুরু হবে।
স্টিয়ারিং-এ এমন স্টিকার লাগানো থাকলে গাড়ির চালকদের সবসময় সে দিকে নজর পড়বে। আর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর বার্তা চোখে পড়লে, তাঁরা প্রতি মুহূর্তে সচেতন থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে তাই অনেকটা মনস্তাত্ত্বিক দাওয়াই হিসাবেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে উত্তরবঙ্গ সফর কালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব গাড়ির স্টিয়ারিং-এ ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ লেখা স্টিকার লাগানোর নির্দেশ দেন। এই স্টিকার পুলিস-প্রশাসনের তরফ থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, উত্তরবঙ্গে পুলিসেরই একটা গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তারপরই এমন নির্দেশ দেন মমতা। পুলিসকর্মীদের মমতা সে দিন বলেন, “আপনাদের দেখেই মানুষ পথ নিরাপত্তার বিষয়ে শিখবে। আপনাদের উচিত তাঁদের সামনে রোল মডেল হয়ে ওঠা”।