শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অসমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বাধার মুখে তৃণমূল কংগ্রেস

News Sundarban.com :
আগস্ট ২, ২০১৮
news-image

শিলচরে বিমান থেকে নামতেই আটকে দেওয়া হয় তৃণমূলের আট প্রতিনিধিকে ৷ বাকি যাত্রীদের বের করে তৃণমূলের আটজনকে বেরতে না দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ নিরাপত্তা কারণে আটকে রাখা বলে জানিয়েছে প্রশাসন ৷ সূত্রের খবর, বিকেলেই তাদের কলকাতায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে অসম সরকার ৷ NRC চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হওয়ার পরই তার বিরোধিতা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একই সুরে বিজেপির মুণ্ডপাত করে কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বামদলগুলিও। ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন ৷ শিলচর বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷ অসম NRC ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার শিলচরে পৌঁছান তৃণমূল প্রতিনিধিরা ৷

বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে অসম পুলিসের বিরুদ্ধে। বিমানবন্দরের ভিতরে মহিলা তৃণমূল সাংসদদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৷ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগ, ‘পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ৷ বিমানবন্দরে নামতেই ঘিরে ফেলা হয় ৷ আমাদের মারধর করা হয়েছে ৷ আমাদের ঘরবন্দি করার চেষ্টা হয় ৷ আমাদের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে ৷’ সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, ‘পরিকল্পিতভাবে আটকানো হয়েছে ৷ মহুয়া মৈত্র, মমতাবালা ঠাকুরকে মারধর করেছে অসম পুলিশ ৷’সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, ‘আমরা বিমানবন্দরে ধরনায় বসেছি ৷ বিমানবন্দরে আমাদের আটকে রেখেছে ৷ আমাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে ৷ আমাকেও মেরেছে পুলিশ ৷ কাকলি, অর্পিতাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে ৷ কেড়ে নিয়েছে ফোন ৷ আগে থেকেই তৈরি ছিল স্থানীয় প্রশাসন ৷  এই মুহূর্তে বিমানবন্দের বসেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অসমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধি। তৃণমূলের দাবি, তাঁরা দেশের সাংসদ। দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের ও প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না পুলিস।