শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনের নদীতে বাঘ পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার ১২ জন মৎস্যজীবি

News Sundarban.com :
জুলাই ৫, ২০১৮
news-image

বেশ কয়েকদিন আগে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে একটি বাঘের উপর বাঁশ দিয়ে হামলা করার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। প্রকাশ্যে এই ভাবে বাঘের উপর হামলার ঘটনায় সুন্দরবনের নদী ও জঙ্গলে বাঘের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সব মহলে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিলেন পশুপ্রেমি সহ সাধারণ মানুষজন।ঘটনাটি প্রকাশ্যে  আসতেই তৎক্ষনাৎ নড়ে চড়ে বসেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। যে ট্রলারটিতে করে মৎস্যজীবিরা বাঘের উপর এই হামলা চালিয়েছিল সেটিকে খোঁজার কাজ শুরু হয়। ভিডিওটি দেখে বন দফতর ট্রলারটিকে শনাক্তও করে। জানাগেছে এফ বি জবা নামে ঐ ট্রলারটিতে মোট বারোজন মৎস্যজীবি ছিলেন। তারাই নদী সাঁতরে পার হওয়ার সময় বাঘের উপর হামলা চালিয়েছিল। এইঘটনায় সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগও দায়ের করেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার রাতে সুন্দরবনের হলদিবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত ১২ জন মৎস্যজীবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বন দফতরের সাথে যৌথ উদ্যোগে এই মৎস্যজীবিদের গ্রেফতার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ১৮ জুন রায়দীঘি থেকে বেরিয়ে কেঁদোদ্বীপের কাছ থেকে ঐ এফ বি জবা নামের ট্রলারটিতে করে মৎস্যজীবিরা যাওয়ার সময় দেখেন একটি বাঘ নদী সাঁতরে পার হচ্ছে। সেই সময় ট্রলারটিকে বাঘের কাছে নিয়ে যায় মৎস্যজীবি।  তার পর ট্রলারে থাকা বাঁশ দিয়ে বাঘটির উপর হামলা করে ঐ মৎস্যজীবিরা। সেই ছবি ঐ ট্রলারেরই একজন মৎস্যজীবি মোবাইলে ক্যামেরায় বন্দী করে। আর সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে বন দফতর ট্রলারটিকে চিহ্নিত করে। রায়দীঘির বাসিন্দা বাসু দাসের ট্রলার থেকেই মৎস্যজীবিরা হামলা চালিয়ে ছিল বলে জানা যায়। সেই সুত্র ধরেই বুধবার রাতে হলদিবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত বারোজন মৎস্যজীবিকে গ্রেফতার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রান আইনে মামলা রজু করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে।