শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

News Sundarban.com :
মে ২৬, ২০১৮
news-image

আসনসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এই প্রথম কোনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন সেখানে। ২৬মে কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানও রয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়, পাশাপাশি, এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন পড়ুয়া-গবেষককে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। ৪৪০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট দিচ্ছে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকেও। ডিএসসি দেওয়া হবে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী এসএম ইউসুফকে। জাতীয় কবি কাজি নজরুলের নামে সম্মান অনেক বড় পাওয়া। কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি.লিট গ্রহণের পর বললেন আবেগতাড়িত শেখ হাসিনা। সম্মান গ্রহণ করে দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়ে আবেগ, ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা। হাসিনা জানান, বিশ্বের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তাঁকে বিভিন্ন সময়ে সম্মান প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। কিন্তু, সময়ের অভাবে সবসময় সব জায়গায় গিয়ে তিনি উপস্থিত হতে পারেন না। কিন্তু, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেননি।


হাসিনা বলেন, কাজি নজরুল সবসময় বাংলাদেশের মানুষের চেতনায় জাগ্রত। বাংলাদেশের মানুষের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। তাঁকে দেওয়া এই সম্মান “বাংলাদেশের মানুষের সম্মান, প্রতিটি বাঙালির সম্মান” বলে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা। তিনি আরও বলেন, “বাংলা ভাগ হতে পারে, কিন্তু রবীন্দ্র-নজরুলের কোনও ভাগ হয় না।” একইসঙ্গে বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য এদিন ফের ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেইসময় “খাবার ভাগ করে খেয়েছিল ভারতবাসী”। আগামী দিনেও উপমহাদেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন হাসিনা
এদিকে, ভাগাড়কাণ্ডের ছায়া এবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মাংস। মাংস নিয়ে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পৌছনোর পরেই তাঁকে ডাবের জল ও রোস্টেড ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে স্বাগত জানান হবে। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজে থাকবে ভাত, ডাল, আলুভাজা, চিংড়ির কাটলেট, ডাব চিংড়ি, ভেটকি পাতুরি, বড়ি দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল। সেই সঙ্গে বর্ধমানের মাখা সন্দেশ, সীতাভোগ, মিহিদানা, রাবড়ি, জিলপি উপহার দেওয়া হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। তবে রমজান মাস চলছে। সেকথা খেয়াল রেখেই খাদ্য তালিকায় ফল, পানীয় এবং ড্রাই ফ্রুটসও থাকছে।