শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় মুখর

News Sundarban.com :
মে ৯, ২০১৮
news-image

বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্বাচনী সভা দাঁড়িয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ​মুখ্যমন্ত্রী ​মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন ।​ তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ত্রাসবাদীদের মাসি, আর বাংলা হলো সন্ত্রাসববাদীদের মাসির বাড়ি”। এর পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর গলায় অন্য সুর শোনা গেল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর জয় গান করলেন, তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পিরিটকে সম্মান জানাই। যেভাবে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদেরকে হটিয়েছে তা সম্মান জানানোর মতোই।একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী। রীতি মতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি এই সাংসদ।
তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ এবং মন্দির ট্রাস্টকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারতে নবান্নে আসেন স্বামী। দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। পরে নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন স্বামী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রসংসায় এভাবেই সরব হন।তারকেশ্বর মন্দির ট্রাস্ট গঠনে রাজ্য সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে, এহেন ভিত্তিহীন একটি প্রসঙ্গ সামনে এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল কিছু হিন্দুবাদী সংগঠন। এমনকী মাত্র দু’দিন আগে বিষয়টির সমালোচনা করে ট্যুইট করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী নিজেও। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করে আলোচনার কথা বলেন স্বামী। সেই মতো নবান্নে আসেন তিনি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, এহেন বিতর্কের কোনও কারণ নেই। তারকেশ্বর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তৈরি হয়েছে মন্দির সংলগ্ন গোটা এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের দেখভালের জন্য। এর সঙ্গে মন্দির ট্রাস্টের কোনও সম্পর্ক নেই। ট্রাস্ট মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। ধর্মীয় সেই সব কাজকর্মে সরকারের কোনও অংশগ্রহণ নেই। মমতা জানিয়ে দেন তাঁকে, তাঁর সরকার সংবিধান নির্দিষ্ট ধর্মনরিপেক্ষতায় ভর করে চলে। ধর্মীয় কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করে না। বিজেপির এই সাংসদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য জানার পর তিনি সন্তুষ্ট।