শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বঞ্চিত বাংলার পড়ুয়ারা

News Sundarban.com :
মে ৬, ২০১৮
news-image

একই ঘট্নার পুনরাবৃত্তি। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় বঞ্চিত বাংলার পড়ুয়ারা। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছলোই না বাংলা হরফে লেখা প্রশ্নপত্র। গত বছর কেন্দ্রীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় হিন্দি ও ইংরাজি ভাষার প্রশ্নপত্রের থেকে অন্য় ভাষাগুলির প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তাতে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানায়, নিট-এ সমস্ত ভাষায় অভিন্ন প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। এর পরই গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, এবছর পছন্দমতো ভাষায় পরীক্ষা দিতে পারবেন সমস্ত পরীক্ষার্থী। দিনান্তে অন্তত বাংলায় সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না মন্ত্রীমশাই। রবিবার এই ঘটনায় রাজ্যে অন্তত ২ জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত এক জায়গায় হিন্দি ও ইংরাজি প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর লিখে বেরোতে হয় পড়ুয়াদের। অন্য জায়গায় হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা প্রশ্নপত্র জোগাড় করে পরীক্ষাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তা দেখেই উত্তর লেখেন পরীক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের অধীন সিবিএসি পরিচালিত নিট। সেই মতো উত্তর কলকাতার কাশীপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যান পরীক্ষার্থীরা। কোন্নগরের টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুল-সহ অন্যান্য পরীক্ষাকেন্দ্রেও সকাল থেকে ভিড় করতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। জানা যায়, কাশীপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ও টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয়নি বাংলা হরফে লেখা প্রশ্নপত্র। কাশীপুরে ৬০০ পরীক্ষার্থীর অধিকাংশই প্রশ্নপত্র পাননি। পরীক্ষাকেন্দ্রেই অপেক্ষা করতে বলা হয় তাঁদের। এরই মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। একই ঘটনা ঘটে কোন্নগরেও। সেখানেও প্রশ্নপত্র না পেয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষের ঘণ্টাখানেক আগে হাতেগোনা কয়েকটি বাংলা হরফে লেখা প্রশ্নপত্র জোগাড় করে আনে কর্তৃপক্ষ। তাই দেখেই পরীক্ষা দিতে বলা হয় পরীক্ষার্থীদের। কাশীপুরে আনা হয় হিন্দি ও ইংরাজি ভাষায় লেখা প্রশ্নপত্র। সেই প্রশ্নপত্র দেখেই পরীক্ষা দিতে হয় পড়ুয়াদের।

এই ঘটনা সিবিএসই-র মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগে থেকে পরীক্ষার্থীরা পছন্দ জানানো সত্বেও কেন কম পড়ল বাংলা হরফে লেখা প্রশ্নপত্র?
দু’বছনের টানা পঠনপাঠনের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন বিভ্রাটে হতাশ পরীক্ষার্থীরা। সিবিএসসির অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। পরীক্ষার্থী জানিয়েছে ভাষা আলাদা হওয়ায় প্রশ্নপত্রের অনেকটাই বুঝতে পারেননি অনেকেই।