বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক লালকেল্লাও এবার চলে গেল বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২৮, ২০১৮
news-image

ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক লালকেল্লাও এবার চলে গেল বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে । ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট শাজাহানের তৈরি দিল্লির এই বিশ্বখ্যাত কেল্লার অভিভাবকত্ব পেতে ডালমিয়া গ্রুপকে লড়তে হয়েছে ইন্ডিগো লালকেল্লা দায়িত্ব নিল ডালমিয়া ভারত গ্রুপ। আগামী পাঁচ বছর এই ঐতিহাসিক স্মারকের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে এদের হাতে ।এয়ারলাইন্স এবং জিএমআর গ্রুপের সঙ্গে ।
অবশেষে ২৫ কোটি টাকার বরাতটি পেয়েছে ডালমিয়া গ্রুপই । গত বছরই ‘অ্যাডপ্ট আ হেরিটেজ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার ৷ আর সেই মতো বরাত পেল ডালমিয়া গ্রুপ ৷ শোনা যাচ্ছে, এই সংস্থার প্রাথমিক লক্ষ্য কীভাবে লালকেল্লাকে সাজিয়ে তোলা যায় ৷ লালকেল্লাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলতে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে । দৃষ্টিহীনদের সুবিধের জন্য তৈরি করা হবে বিশেষ ধরনের মেঝে, শুরু করা হবে লাইট শো, সৌধের বিভিন্ন জায়গায় লেখা হবে লালকেল্লার ইতিহাস, প্রতিদিন থাকবে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন। কেল্লাকে জনপ্রিয় করতে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থাও করা হবে । আগামী এক বছরের মধ্যে লালকেল্লা–‌চত্বরে শৌচাগারের উন্নতি, পর্যটকদের ঘুরে দেখার সুবিধের জন্য কেল্লার বিভিন্ন অংশের ম্যাপ, কেল্লা–‌চত্বরে আলোকসজ্জা, অনুসন্ধান কেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, কফি শপ তৈরি করতে হবে ডালমিয়া গ্রুপকে । এর জন্য পর্যটকদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ ধার্য করতে পারবে গ্রুপ। সেই অর্থ পরে খরচ করতে হবে কেল্লার উন্নতিতেই । লালকেল্লায় হোর্ডিং বা ব্যানার দিয়ে নিজেদের কোম্পানির নামও প্রচার করা যাবে ।
আগামী ১৫ অগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে কেল্লাকে ভাষণ–‌উপযোগী করে তোলার চিন্তা–‌ভাবনা রয়েছে ডালমিয়া গ্রুপের। এরপর লিজের তালিকায় রয়েছে তাজমহল, হিমাচল প্রদেশের কাংড়া ফোর্ট, অরুণাচল প্রদেশের তিমবাং, হরিদ্বারের সতীঘাট, কোনারকের সূর্যমন্দির প্রভৃতি। এর মধ্যে সূর্যমন্দিরের ব্যাপারে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে ডালমিয়া গ্রুপের সঙ্গেই । অন্য দিকে তাজমহলকে দত্তক নিতে লড়ছে জিএমআর গ্রুপ এবং আইটিসি।
অন্যদিকে, পর্যটনের উন্নয়নের দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লাকে ‘লিজ’-এ বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়েছে মোদী সরকার। এই অভিযোগে সরব হল কংগ্রেস। তাদের দাবি, রাষ্ট্রের সম্পত্তি বেচে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী কেজে আলফোনসের ব্যাখ্যা, ঐতিহাসিকস্থল সংরক্ষণে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। ব্যবসায়িক লাভের জন্য এটা করা হয়নি বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা।
এই প্রকল্প নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে অনলাইন ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেসের।