শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাসন্তী ব্লকে সচিত্র পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় ভুল ঠিকানা বিপাকে ভোটাররা

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২৭, ২০১৮
news-image

ভারতীয় নাগরিক হিসাবে প্রমাণ করাতে যে সচিত্র পরিচয় পত্র একান্ত ভাবে গণ্য। সেই সচিত্র পরিচয়ের জন্ম লগ্ন থেকে ভুলে ভরা,যার জন্য বিপাকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের ১৯১ অংশের(দুটি পাড়া নিয়ে বুথ  ৭ নং ও ৮ নং উত্তর গরাণবোস)এই বুথ ।  ২০১৮ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী    ৫৭৭জন পুরুষ ও ৫৯৫ জন মহিলা,মোট ভোটার সংখ্যা ১১৭২ জন।


দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লক পিছিয়েপড়া ব্লকের অন্যতম। সেই পিছিয়েপড়া ব্লকের একটি বুথে ১১৭২ জন ভোটার।সচিত্র পরিচয়পত্রের জন্মলগ্ন থেকে  ভোটার তালিকায় ও সচিত্র পরিচয় পত্র ভুলে ভরা মানুষজন আজ মহাবিপাকে। একাধিকবার আবেদন নিবেদন করে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোন সুফল মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের দাবী একাধিকবার ভুল সংশোধনের জন্য ৮ নং ফর্ম ফিলাপ করেও সুরাহা মেলেনি। গ্রামবাসীদের দাবী ভোটার তালিকা ও সচিত্র পরিচয় পত্র দুটিই যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশোধন করা হতো তাহলে আজ আমাদের প্রতিধাপের দুর্ভোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারতাম।তাদের আরো দাবী আধার কার্ড,রেশনকার্ড,প্যান কার্ড,পাসপোর্ট,ইলেকট্রিক বিল,জমির দলিল,স্বাস্থ্যবীমা,জবকার্ড,গ্যাসের সংযোগ সঠিক ঠিকানায় থাকলেও সরকারী বেসরকারী কাজের ক্ষেত্রে প্রতিধাপে হয়রানী হতে হয় সচিত্র পরিচয় পত্রের ঠিকানা ভুল থাকায়।
ঐ১৯১নং অংশের ভোটারদের বর্তমান ঠিকানা পার্শ্ববর্তী তিনটি গ্রামের চারটি পাড়ায়।সঠিক ঠিকানা উত্তর গরাণবোসের  পরিবর্তে পূর্বপাড়া আনন্দাবাদ,পূর্বপাড়া ভরতগড়,পূর্ব হালদার পাড়া,১নং পূর্ব হালদারপাড়া গরাণবোস এই চারটি পাড়া হওয়ায় মহাবিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের দাবী “প্রত্যেকেরই ঠিকানায় রয়ে গিয়েছে পাশের তিনটি গ্রামের নাম। কোন ক্ষেত্রে আবার একই পরিবারের তিনজন সদস্যের তিনরকম ঠিকানা হয়ে গিয়েছে। যেমন বাবার ঠিকানা হয়েছে পূর্বপাড়া ভরতগড়,ছেলের ঠিকানা হয়েছে পূর্বপাড়া আনন্দাবাদ,আবার পুত্রবধুর ঠিকানা হয়েছে ১নং পূর্ব হালদারপাড়া।
স্থানীয় বাসিন্দা রইচ মোল্ল্যা,জিয়ায়ুর বৈদ্য,অাপ্তার সেখ,ফারুক আহমেদ সরদার,মফিজুল লস্কর,অাবদুল্লা সেখ বলেন সংশোধনের জন্য সরকারী নিয়ম মেনে ৮ নং ফর্ম পূরণ করে বিডিও,এসডিও অফিসে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু বারবার একই ভুল রয়েই গিয়েছে। সমস্যা কোনরুপ সমাধান হয়নি।”
অন্যদিকে বাসন্তী বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।  মহকুমাশাসকের গোচরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।তবে যাদের ভোটার তালিকায় নাম আছে তাদের ভোট দিতে কোন সমস্যা হবে না।যাতে করে ঐ সমস্যার সমাধান হয় তার জন্য বিষয়টি জেলার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”