শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রত্যন্ত সুন্দরবন জঙ্গলে জলদস্যুদের হামলায় জখম মৌলেরা, লুট মধু, মোম ও নৌকা

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২২, ২০১৮
news-image

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের জঙ্গলে জলদস্যুদের হামলার মুখে পড়লেন মৌলেরা(মধু সংগ্রহকারী)। সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত আমতলি থেকে নয় সদস্যের মৌলেদের একটি দিন পনেরো আগে সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহের কাজে যান। শনিবার ভোরে সেখান থেকে ফেরার পথে একদল জলদস্যুদের কবলে পড়েন মৌলেদের দল। বেশ কয়েকজন মৌলেকে বেধড়ক মারধোর করে দুষ্কৃতীরা। ভয়ে প্রান বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন তারা। আর সেই সুযোগে মৌলেদের নৌকা, সংগৃহীত মধু ও মোম নিয়ে চম্পট দেয় ঐ জলদস্যুরা।

এপ্রিলের শুরুতেই সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারণে ছোটমোল্লাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমতলি গ্রাম থেকে নয় সদস্যের মৌলেদের একটি দল সুন্দরবনের বাগনা রেঞ্জ অফিস থেকে অনুমতি পত্র নিয়ে দিন পনেরো আগে সুন্দরবনের জঙ্গলে রওনা দিয়েছিলেন মধু ও মোম সংগ্রহের জন্য। প্রায় কুড়িটি ড্রামে আট কুইন্টালের মত মধু ও প্রায় পাঁচ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ করে শনিবার ভোর রাতে রওনা দিয়েছিলেন বাগনা রেঞ্জ অফিসের দিকে। কিন্তু চামটার জঙ্গলের কাছে তিনটি নৌকায় করে কুড়ি জনের বেশী জলদস্যু তাদের নৌকা ঘিরে ধরে। এরপর ধারালো অস্ত্র বের করে সুভাষ মণ্ডল ও বাপি মণ্ডল নামে দুই মৌলেকে আঘাত করে জলদস্যুরা। প্রান ভয়ে সকলেই নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান মৌলেরা। আশ্রয় নেন সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। অভিযোগ সেই সুযোগে মৌলেদের আহরণ করা মধু, মোম ও নৌকা নিয়ে চম্পট দেয় জলদস্যুরা। এরপর দিনের আলো ফুটতে অন্য মৌলেদের সাহায্যে এলাকায় ফিরে আসেন তারা। এ বিষয়ে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌলেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবী গত ১৬ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার নদী ও খাঁড়িতে বনদফতর ও পুলিশ যৌথ উদ্যোগে নজরদারি চালাচ্ছে। এই ধরনের কোন ঘটনার কোথা তাদের কানে আসেনি। তবুও মৌলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ