বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিমলা চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটকের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে

News Sundarban.com :
এপ্রিল ৪, ২০১৮
news-image

হিমাচলের পাহাড়ি এলাকার নৈসর্গিক দৃশ্য এককথায় অনন্য। বরফে ঢাকা পাহাড়, শীতল পরিবেশ, মেঘের ভেসে বেড়ানো দেখে মোহিত না হয়ে উপায় থাকে না।
শিমলা:  শিমলা চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটকের মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। একবার গেলে জীবনে কখনোই ভুলবেন না। কলকা থেকে সিমলা যাওয়ার সময় আপনি দেখতে পাবেন ১০২ টি সুরঙ্গ এবং রেল লাইনে রয়েছে ৮৬৪ টি সেতু। আর সিমলায় গিয়ে দেখতে পারেন -জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির, ভ্যাইসরিগেল লজ , সামার হিল , ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল, দ্য রিজ বা শৈলশ্রেণী, মল রোড, ক্রাইস্ট চার্চ, সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল, গেইটি থিয়েটার, কোটগড়, সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য, কুফরি, ফাগু। কলকাতার হাওড়া থেকে কলকা যেতে হবে হাওড়া কলকা মেইল ট্রেনে, ট্রেনটি হাওড়া থেকে সন্ধা সন্ধা ৭.৪০টায় ছেড়ে ৩য়দিন ভোড় ৫টা নাগার কলকা পৌছবে।কলকা-সিমলা ন্যারোগেজ (২ ফুট ৬ইঞ্চি) রেলওয়েটি আশপাশের গ্রাম, পাহাড়-পর্বতের জন্য বিখ্যাত । এবং এই রেলওয়েটি কলকা রেলওয়েটি সিমলা ভ্রমনের সবচেয়ে পর্বতময় রেলওয়ে। এই রেলওয়ে সোলান গ্রামের মধ্যে দিয়ে যায় যা ছোট সিমলা নামে পরিচিত। ট্রোন রাস্তার দুধারের প্রকৃতি ভ্রমন পিপাসুদের মুগ্ধ করে। এই রাস্তাটির বিশেষ আকর্ষন কলকার সিভালিক মালভূমির বিভিন্ন স্থান ।বর্তমানে কলকা সিমলা রেলওয়েতে মোট ১০২টি সুরঙ্গ পথ কার্যকর রয়েছে, বারোগেও সবচেয়ে দীর্ঘ সুরঙ্গ হলেও সিমলায় আবস্থিত শেষ সুরঙ্গ পরিণত হয়েছে বিখ্যাত স্থাপনায়। এছাড়া এই রেললাইনে রয়েছে ৮৬৪টি সেতু, আর্ক গ্যালারী নামে পরিচিত ৪৯৩সেতুটি তিনস্তরের গ্যালারী পাথরের তৈরি। কলকা থেকে সিমলায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে কয়েকটা ট্রেন।
কলকা থেকে টয় ট্রেনের টিকেট করে আপনার সুবিধামতো সময়ে যেতে পারেন সিমলা।
সাহারান্ঃ হিমাচ্ল প্রদেশের কিন্নর অঞ্চলের প্রবেশ্দ্বার সাহারান। সিমলা থেকে দীরত্ব প্রায় ১৮০ কিমি। সাহারানের মূল আকর্ষণ এর নৈসর্গিক প্রকৃতি। প্রকৃতির আদিম রূপ রস গন্ধ অনুভ্ব করা যায় সাহারানের রন্ধে রন্ধে। সিমলা থেকে সরাসরি গাড়িতে আসতে পারেন সাহারানে।
কারসোগ ভ্যালিঃ সবুজে ঘেরা, আপেল বাগানের ভর্তি কারসোল ভ্যালি হিমাচলের মাণ্ডি জেলায় অবস্থিত। শিমলা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরত্ব এই জায়গাটির। এখানে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত মহানাগ মন্দির, মামলেশ্বর মন্দির ও কামাক্ষ্যা মন্দির অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
কলপা ঃ এখন অনেকেই এই জায়গাটিতে যান। কিন্নর-কৈলাশের কোলে এই জায়গাটি অপূর্ব সুন্দর। ট্রেকিং করা, আপেল বাগানে ঘুরে বেড়ানো ও সঙ্গে হিমালয়ের অপার শোভা দেখে মন ভালো হতে বাধ্য।
বারোত উপত্যকাঃ মাণ্ডিতে অবস্থিত এই জায়গাটিও স্বপ্নসুন্দর। কুলু ও মানালিতে ট্রেক করে এই জায়গা থেকে যাওয়া যায়। উপত্যকার চারপাশে ঘন জঙ্গল ও পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী জায়গাটির শোভা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ছিটকুল ঃ বাপসা নদীর তীরে অবস্থিত এই জায়গাটি আগে ততোটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে কালক্রমে হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত এই এলাকার প্রাকৃতিক শোভা অবর্ণনীয়।
নারকান্দাঃ শিবালিক পর্বতের পাদদেশে এই শহরটি অবস্থিত। শীতকালে এই এলাকা স্কি রিসর্টে পরিণত হয়। শিমলা থেকে এর দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার।