বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিনিয়ত মোবাইল ব্যবহারে হতে পারে শারীরিক ক্ষতি

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২, ২০১৮
news-image

প্রতিনিয়ত কর্ম ব্যস্ত জীব্নে মোবাইল ফোন অগ্রগণ্য ভূমিকা পাল্ন করে চ্লেছে ।মোবাইল ফোনের যেমন ভালো দিক রয়েছে আবার খারাপ দিকও রয়েছে। মোবাইল ফোনের কারণে মানুষের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের কারণে বয়স ভেদে নানা ধরনের জটিলতা সৃ্ষ্টি হচ্ছে। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু কভারতীয় সেনারে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের কারণে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। মোবাইল ফোনের কারণে সমাজে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটের কারণে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার বেড়েছে। আর এই ইন্টারনেটের কারণে মোবাইল ফোনে সকল রকম অনাচারের মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে। চুরি-ডাকাতি, ছিলতাই, গুম, খুন এসব ঘটনা বৃদ্ধির জন্যও এই মোবাইল ফোনের ভূমিকা রয়েছে। এভাবে সমাজের অনেক অনাচারের জন্য এই মোবাইল ফোনকে অনেকেই দায়ি করে থাকেন। এছাড়া মোবাইল ফোনের আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারেঃ  দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বললে কানের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- কানে কম শোনার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর তাদের মধ্যে এই শ্রবণশক্তি হ্রাসের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যাপকহারে ব্যবহার করার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। যারা দৈনিক ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি ফোনে কথা বলেন অথবা গান শোনেন তাদের ৩ থেকে ৫ বছরের মাথায় আংশিকভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। এটি রোধ করতে হলে আপনার ফোনের রিং-টোন যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখতে হবে এবং ফোনে খুব বেশি গান শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

মস্তিষ্কের ক্যান্সার হতে পারেঃ  এই মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজষ্ক্রিয় রশ্মি মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলে। মোবাইল ফোনথেকে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গ মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তরঙ্গকেই কারসিনোজেনিক বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিঃ এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব মহিলারা গর্ভাবস্থায় খুব বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। তাছাড়া পরবর্তীতে এই শিশুদের মাঝে আচরণগত অনেক সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আর তাই গর্ভাবস্থায় মায়েদের উচিত মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করা। অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করা। বর্তমান আধুনিক এই সময়ে মোবাইল ফোনকে একেবারে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া কোনো প্রকারেই সম্ভব নয়। তবে একটু সচেতন হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নানা সমস্যা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি। যেটি আমার-আপনার সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।

শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতিঃ  অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অনেকে অনেকেই কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। অনেকেই অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে বার্তা পাঠাতে থাকেন। বসার ভঙ্গির কারণেও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোনে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট বা সন্ধির সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন।