বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় গাফিলতি কথা অবশেষে মেনে নিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

News Sundarban.com :
মার্চ ২৯, ২০১৮
news-image

সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় গাফিলতি কথা অবশেষে মেনে নিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পথ দুর্ঘটনায় জখম হন ডানকুনির বাসিন্দা সঞ্জয়। তাঁর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। এই ঘটনায় ফুলবাগান থানাও তদন্ত করছে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। কাউন্সিলের রায় নিয়ে দোষী দুই চিকিৎসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রতিক্রিয়া এড়িয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।এই ঘ্ট্নায় দোষী সাব্যস্ত করা হল চিকিৎসক ঊষা গোয়েঙ্কা ও শ্যামল সরকারকে। আজ সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি ছিল। কাউন্সিলের ২১ জন সদস্যই শুনানিতে হাজির ছিলেন। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের পাশাপাশি ছিলেন সঞ্জয়ের নিকটাত্মীয়রাও। সবপক্ষের কথা শুনে কাউন্সিল সিদ্ধান্তে পৌঁছয়, সঞ্জয়ের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল।
সূত্রের খবর, অ্যাঞ্জিও এম্বোলাইজেশন হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয় কাউন্সিলের কাছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল মনে করছে, চিকিৎসকদের তরফে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল। কারণ, রোগী মাদকাসক্ত ছিলেন কি না, তা বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল পরিবারকে। পাশাপাশি, কর্মীর অভাবের অজুহাত দেখিয়ে বেডের সঙ্গে রোগীর হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছিল। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে এই দুই চিকিৎসক স্বতঃপ্রণোদিতভাবে দেখা করেননি। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া লিভারের চিকিৎসা আদর্শ বিধি মেনে করা হয়নি। মূলত এইসব কারণেই দুই চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে, অ্যাঞ্জিও এম্বোলাইজেশন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় জেগেছিল কাউন্সিলের মনে। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্টেও এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তাই চিকিৎসকদের দাবিকে মান্যতা দেয়নি কাউন্সিল।
নিজেদের দাবির পক্ষে এদিন দু’জন সাক্ষীকেও কাউন্সিলের সামনে হাজির করেছিলেন দুই চিকিৎসক। কিন্তু তাতেও শাস্তি এড়াতে পারেননি তাঁরা। রেজিস্ট্রেশন নম্বর সাসপেন্ড হওয়ার অর্থ, শাস্তির চিঠি পাওয়ার পর ঊষা এক বছর রোগী দেখতে পারবেন না। একইভাবে শ্যামলও ৬ মাস রোগী দেখতে পারবেন না। যদিও এই দুই চিকিৎসকের এই শাস্তিতে খুশি নয় সঞ্জয়ের পরিবার।