শিশুর মাথা থেকে বেরিয়ে এল জীবন্ত ১৫০ অধিক পোকা
বছর ছয়েকের এক শিশুর মাথা থেকে বেরিয়ে এল ১৫০অধিক পোকা।শিশু আনারুল সেখ। খেলাধূলা মত্ত শিশু মন বিগত দ-তিন মাস আগেই খেলাধূলা করতে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগে।৪/৫ দিন পর থেকেই যন্ত্রাণ কাৎরাতে থাকলে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং থানার দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমার’শা মাঝের পাড়া গ্রামের দরিদ্র অসহায় পরিবারের শিশুটির মা বীণা বিবি কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না।ইতিমধ্যে পাড়ার মহিলাদের সহযোগিতায় শিশুটিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শিশুটির পরিবার থেকে নিয়ে গেলে তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতার হাসপাতালে গিয়েও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় অসহায় দরিদ্র পরিবার কে ।শিশুটির চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলে ফেরত ফেরত পাঠানো হয়।ছোট্ট শিশু টি মাথার যন্ত্রণায় কাৎরাতে দেখে অবশেষে পাড়ার লোকজনের সহযোগিতায় সোনারপুরে একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন আনারুল সেখ কে।নার্সিং হোমেও দিন-দুয়েক পর জানিয়ে দেওয়া হয় শিশুটির এখানে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। এরপর বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়েও কোন সূরাহা হয়নি।
অবশেষে অাবার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুক্রবার শিশু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ক্যানিং ষ্টেশনে আসেন।ট্রেন ধরার ঠিক আগের মুহুর্তে প্রচন্ড যন্ত্রনায় শিশুটি কাৎরাতে থাকলে ক্যানিং ষ্টেশন সংলগ্ন এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
চিকিৎসক ডাঃ কুমুদ রঞ্জন ঘরামী দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় শিশুর মাথায় ক্ষতস্থানে অপারেশন করে একে একে ১৫০ অধিক পোকা বের করেন।শিশুর মাথা থেকে পোকা বের হচ্ছে খবর শুনে শ’য় শ’য়ে মানুষ ভীড় করতে থাকেন। বর্তমানে শিশু আনারুল সেখ সুস্থ।
ডাঃ কুমুদ রঞ্জন ঘরামী বলেন “এটা সামান্য একটা ঘটনা। শিশুটির মাথা একটি ক্ষত থেকে পচন ধরে এমন পোকার বংশ বিস্তার ঘটেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে পোকা জন্মাতে পারতো না। চিকিৎসার গাফিলতিতে এমন হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে বিপদমুক্ত তবে পরিবারের লোকজন কে শিশুটির সিটি স্ক্যান করাতে বলেছি।”