বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে জল বন্ধ, নরক যন্ত্রণায় রুগী থেকে চিকিৎসক

News Sundarban.com :
মার্চ ৮, ২০১৮
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ

গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে রৌদ্রের তেজ। ফলে বসন্তেই গ্রীষ্মের দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে। আর গরম বাড়ার সাথে সাথেই জলকষ্টে ভুগছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষজন।আর এই সমস্যার মধ্যে গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত অবস্থা ক্যানিং মহকুমা হাসাপাতালে আগত রুগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক সকলেরই। গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে পানীয় জলের লাইন বন্ধ।হাসপাতাল চত্বরে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় জলের পাইপ লাইন ফেটে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার থেকে দফায় দফায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে বারে বারে জানিয়ে ও কোন ফল হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতাল কর্তপক্ষ।পানীয় জলের অভাবে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সমস্ত কাজকর্ম ও প্রায় শিকেয় উঠেছে। জলের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে অপারশনের কাজ ও। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে গরমে জল না পেয়ে কার্যত ওষ্ঠাগত প্রান সাধারন মানুষজনদের। নল বাহিত জল ছাড়া একটি গভীর টিউবওয়েল হাসপাতালে থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরে সেটি ও বিকল। ফলে হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকা রুগী হোক বা বহিরবিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রুগী কিংবা হাসপাতালের নার্স থেকে শুরু করে চিকিৎসক জলকষ্টে ভুগছেন সকলেই। এ বিষয়ে সমস্যার আপাত সমাধান করতে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বারুইপুর পুরসভা থেকে দুই ট্যাঙ্ক জল এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এতো পরিমান চাহিদার কাছে এই চেষ্টা খুবই কম। ফলে জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে সকলকেই। এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার অর্ঘ্য চৌধুরী বলেন, “জলের অভাবে হাসপাতালের সমস্ত কাজ বন্ধ হতে বসেছে। এমন চলতে থাকলে আগামী দিনে হাসপাতালে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়বে। আমরা বারে বারে সমস্যার কথা পি ডাব্লিউ ডি’কে জানিয়েছি। কিন্তু ওনাদের তরফ থেকে এই সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তীপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে”।