শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ বিশ্ব নারী দিবস

News Sundarban.com :
মার্চ ৮, ২০১৮
news-image

শ্রেয়শ্রী ব্যানার্জী

আজ বিশ্ব নারী দিবস। ৮ মার্চ, আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মত একটি দিন।নতুন প্রজন্মের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন।যে নারীরা স্বাধীনতা আনতে আত্মবলিদান করে আজ সেই দেশেই নারী পরাধীন । কিন্তু আমাদের চারপাশের যা সামাজিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে এই দিনটির গায়েও বিশষত্বের তকমা লেগেছে। আর একবার সব অপমান, লাঞ্ছনার, অন্যায়-অবিচার সোচ্চার হওয়া দিন। নতুন করে নারী চেতনা কে জাগ্রত করার দিন। মাতা, ভার্যা,সহোদরা,দত্তা যে সম্পর্কই থাকুকনা কেন জগত সংসারের ধারক এই মহিলারা। শুধু এইটুকু পরিচিতি মেয়েদের জন্য য্থেষ্ঠ নয়, নারীরা ভবিষ্য প্রজন্মের ধারক। কিন্তু আমাদের মা ঠাকুরমা বা আরো একটু পিছিয়ে গেলে নারী স্বাধীনতাই সেখানে বড় প্রশ্ন। জানি আমাদের ভোটাধিকার আছে , কিন্তু আমরা মেয়েরা সত্যি স্বাধীন? সত্যি কি আমরা নিজেদের সেই কঠিন প্রাপ্য জায়গা ধরে রাখতে পারি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়। যে সমাজে জন্মের আগে থেকে যেখানে নারী পুরুষের ভেদাভেদ সেখানে এক দিনের গালভরা সম্ভাষণ নাই বা হল। যেখানে আজও পুত্র সন্তান না হওয়া সমাজের গঞ্জনা শুনতে শুধু মাত্র এক্জন নারীকে। যে দেশে নারী পণ্য, যে দেশে কণ্যাভ্রূুণ হত্যার মত পাপ অহরহ, যে দেশে প্রতিনিয়ত ঘ্টে ধর্ষণের ঘটনা, যে দেশে পণের শিকার মেয়েরা সেখানে আমরা বিশ্বনারী দিবসের কথা বলছি।সত্যি বড় হাস্যকর বিষয়। কণ্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর বছর না ঘুরতে তার ওই কচি মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হল এ সংসারের নানা আচার বিচার এই ভাবে মেয়েদের ক্থা বলেতে নেই, এই ভাবে বসেতে নেই শুধু মেয়েরাই পুতুল নিয়ে খেললে, এই অন্ধকুসংস্কারে বেরাজালে মেয়েদের আবদ্ধ করে রাখে আমাদের পরিজনেরা। কেন সংসারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত দাদু বা বাবা নেবে, কেন বলা হয়না এ সংসারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দিদা বা মা। আস পাস থেকে আমরা মেয়েরাই রে রে করে উঠে বলব সে আবার হয়নাকি? এটাই নাকি সংসারের নিয়ম। আর কত্দিন? এবার উচিত নিজের চিন্তাভাবনাকে পালটানো। বিদ্যোত্জনরা বলেন নারী মুক্তি , নারী স্বাধীনতার কথা, মেয়েরা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোচ্ছেন।আপাত দৃষ্টিতে মেয়েরা সত্যি এগোচ্ছেন।মেয়েরা এখন দেশ চালাচ্ছেন, বন্দুক হাতে দেশ রক্ষা করছে, মেয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ভিন গ্রহে, মেয়েরা এখন তুষারগিরি অতিক্রম করছেন অনায়াসে ,অনেক কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা এখন বস। কিন্তু তাও কোথাও না কোথাও মেয়েদের এই এগিয়ে আসার ঘটনা মুষ্টিমেয় পুরুষছাড়া অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। তাইতো ঘরে ঘরে অশান্তি, দেশ জুড়ে নারী অত্যাচারের ঘটনা।
বাবার শাসনে বড় হওয়া ছোট থেকে, বিবাহের পর স্বামীর অধীনতা, আর বার্ধক্যে পুত্রের বস্যতা স্বীকার। সংসারের চালকের আসনে এখনো পুরুষ। এই সব লড়াইয়ে নিজের প্রাপ্য সন্মানের জন্য, নারী পাক তার প্রাপ্য সন্মান। শ্রধু বই এর পাতায় নারী স্বাধীনতার লড়াইয়ে করলে চলবে না , নিজের যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিক মেয়েরা। আজ বিশ্ব নারী দিবসে এই শপত সকল নারীদের কে নিতে হবে।