শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমাদের টার্গেট লালকেল্লা।চলো দিল্লি চলো” : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

News Sundarban.com :
মার্চ ৫, ২০১৮
news-image

ত্রিপুরা জয়ের পরই এবার বাংলা’,এমনটা বলছেন দিলীপ-মুকুলরা। বামদুর্গ ভাঙার পর পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহও স্পষ্ট করেছেন, বাংলা, কেরল ও ওডিশায় বিজয়কেতন না উড়লে বিজেপির স্বর্ণযুগ আসবে না। সোমবার পুরুলিয়ার সভায় বিজেপির সেই হুঙ্কারের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, ”ওরা বাংলা টার্গেট করলে আমার টার্গেট লালকেল্লা।” তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছিলেন, ”এবারই লালকেল্লায় শেষবার জাতীয় পতাকা তুলবেন নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল ও সমস্ত বিরোধী দলের হয়ে চ্যালেঞ্জ করলাম আমরা।” সেই সুরেই এদিন ডেরেকের দলনেত্রী বলেন, ”কেউ কেউ বলছে ওদের টার্গেট বাংলা। আমাদের টার্গেট লালকেল্লা।চলো দিল্লি চলো।” এদিন মমতার ভাষণের বেশিরভাগটাই জুড়েছিল গেরুয়া শিবিরের আক্রমণ। ত্রিপুরায় সিপিএমের পরাজয়ের পর উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে আটকাতে বামেরা উদ্যোগ নেয়নি, বরং আত্মসমর্পণ করেছে। এমনকি কংগ্রেসের ছন্নছাড়া মনোভাবকেও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করে আসছে তৃণমূল। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছেন। তাঁকে ফোন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। বস্তুত, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের সলতে পাকাতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালে কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ হয়ে উঠতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।