শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতিসংঘের দূতকে নির্যাতনের কাহিনি জানাল রোহিঙ্গারা

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ২০, ২০১৮
news-image

এম এ আহাদ শাহীন:

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের কথা শুনলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া নেচার পার্কে ১৬ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন হি লি। এসময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বেলা ১১ টার দিকে পায়ে টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেন জাতিসংঘের দূত।
দেড় টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবির (পুতিন পাহাড়) পরিদর্শনে যান জাতিসংঘের বিশেষ দূত।
নেচার পার্কে রোহিঙ্গারা সেনাবাহিনী ও রাখাইনদের চরম নিপীড়ন ও নির্যাতনের কথা বর্ণনা করে। এ সময় তিনি সব ধৈর্য নিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন।
রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও ধর্ষণের পর পালিয়ে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে তারা।
গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত দিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্প্রতি চুক্তিও হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে এই প্রত্যাবাসন শুরুর কথা। প্রথম দিকে প্রতি সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গার ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। দুই মাস এভাবে চলার পর ফিরে যাওয়ার রোহিঙ্গার সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
অবশ্য কুতুপালং ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। তারা ফিরে যাওয়ার আগে মিয়ানমারে নাগরিকত্বে ঘোষণা, নির্যাতনের বিচার, বাড়িঘর ও সম্পদ ফিরিয়ে দেয়া, রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনসহ নানা শর্ত পূরণের নিশ্চয়তা চাইছে।
আবার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্তি চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার এতে রাজি হয়নি। যদিও তারা রেডক্রসের সহায়তা নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও এখনও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।