শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পোপ ফ্রান্সিস একবারের জন্যও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৯, ২০১৭
news-image

পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারে তার ভাষণে একবারের জন্যও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। তবে ‘প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ’ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু।

রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করলেও মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানীতে দেয়া ভাষণে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় তার দৃঢ অবস্থান তুলে ধরেন পোপ।

রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোপের প্রতি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে সফরকালে পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে অনুরোধ জানিয়েছিল মিয়ানমারের ক্যাথলিক চার্চ। অন্যথায় মিয়ানমারে ক্যাথলিকরা সমস্যায় পড়তে পারে বলে তাকে বলা হয়।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। আর এই শান্তি আসবে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে মর্যাদা ও অধিকার প্রদান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধার জানানোর মাধ্যমে। প্রতিটা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে গণতন্ত্রের নির্দেশ অনুরসরণ করতে হবে—কেউ বাদ যাবে না। এতে করে সবারই মঙ্গল হবে।’

নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের’ অভিযোগ ওঠে। মিয়ানমার সরকার ওই জনগোষ্ঠীকে ‘রোহিঙ্গা’ না বলে ‘বাঙালি’ বলে উল্লেখ করে আসছে। তাদের যুক্তি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমার এসেছে।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো দেশটির জনগণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিক সংঘাত ও সহিংসতার ফল ভোগ করে যাচ্ছে এই জনগণ; যা গভীর বিভাজনের সৃষ্টি করেছে।’ তবে পোপ ফ্রান্সিস অতীতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি তাদের ‘ভাইবোন’ বলে অভিহিত করেন।

ভাষণ দেওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করেন। সু চিও তার বক্তব্যে সরাসরি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি স্বীকার করেন, রাখাইনের পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে ‘বিশ্বের নজর’ কেড়েছে।-এএফপি