শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দার্জিলিংয়ে আর্থিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৪, ২০১৭
news-image

আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি জেলায় ১০৪ দিনের ধর্মঘটের কারণে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলো ২০১৮ সালে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়বে। গত সপ্তাহে শেষ হওয়া ওই দীর্ঘ গোলযোগের কারণে দার্জিলিংয়ের ৮৭টি এস্টেটের ৭০ ভাগ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আর্থিক হিসাবে এই ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ।

আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোর্খা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তা নিরসন করতে কেন্দ্রিয় সরকার হস্তক্ষেপ করায় গত সপ্তাহে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। দুর্গা পূজার কারণে চা এস্টেটগুলো এখনো খোলেনি। তবে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ৭-৮ মাসের আগে নতুন উৎপাদন শুরু হবে না।

আলাদা রাজ্যের দাবিতে এই আন্দোলন চা বাগানগুলোর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এত দীর্ঘ ধর্মঘট এসব এলাকায় আগে কখনো দেখা যায়নি। বড় বড় ঝোপঝাড় গজিয়েছে। উৎপাদনে যাওয়ার আগে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

চা বাগানের প্রথম ফসল পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে। এবার তা পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন একটি বাগানের মালিক এবং দার্জিলিং টি এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান এস এস বাগারিয়া। বাগান গোছাতে ৭-৮ মাস লাগবে বলে তিনি মনে করছেন। আর প্রথম ফসল পাওয়ার সময় এস্টেটগুলো বার্ষিক উৎপাদনের অন্তত ১৫ ভাগ ক্ষতির শিকার হবে।

দার্জিলিংয়ে প্রতি বছর প্রায় ৮৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। বসন্ত ও গ্রীস্মকালে সবচেয়ে ভালো চা পাওয়া যায়, এর দামও সবচেয়ে বেশি হয়। এ বছর পুরো বর্ষা মওসুমের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়ায় প্রতিবেশী নেপাল থেকে চা বাজারে প্রবেশ করেছে।

খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা এখন নেপালি চায়ের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। দার্জিলিংয়ের মতো নানা ধরনের চা নেপাল সরবরাহ করতে না পারলেও তার চা অনেক সস্তা। ফলে এটা আগামী বছরের বাজার দরে প্রভাব ফেলতে পারে।

আরেক এস্টেট মালিক আশঙ্কা করছেন, গ্রীষ্মকালীন ফসলেও এই ধর্মঘট প্রভাব ফেলতে পারে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বাগান মালিক মনে করেন, প্রথম ফসল মওসুম পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় মওসুমেও এর আঘাত লাগবে।