শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২, ২০১৭
news-image

প্রতিবারের মতো এবারও মহাসমারোহে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের টাকিতে ইছামতী নদীতে দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন চলছে।
দুই শ বছর ধরে চলে আসছে এই বিসর্জনের উত্সব। আগে এই নদীতে এই বিজয়া দশমীর দিনে দুই দেশের প্রতিমা নিয়ে নদীজুড়ে চলত বিসর্জন উত্সব। একাকার হয়ে যেত দুই বাংলার মানুষ। এখন আর তা হচ্ছে না।
নিরাপত্তা ও অবৈধ অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় এখন এই নদীর দুই পারে দুই দেশের প্রতিমা নৌকায় করে নদীতে এনে বিজয় আনন্দে মেতে ওঠে। তারপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ওই প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হয়। এই বিসর্জনকালীন নদীর মাঝে টহল দেয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবি। ইছামতী নদীর এক পাড়ে পশ্চিমবঙ্গের টাকি আর একপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা। শনিবার বেলা তিনটায় ইছামতী নদীতে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জন উত্সব। চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।

বিসর্জন উত্সবকে ঘিরে দুই বাংলার মানুষ মিলিত হয় ইছামতী নদীর দুই পাড়ে। এবারের বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে ২২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদের বিএসএফ ক্যাম্পে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক প্রশাসনিক বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেয় ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিসর্জন চলবে। ইছামতীর দুই পাড়ে দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন হবে। মাঝনদীতে পাহারায় থাকবে বিজিবি ও বিএসএফ। কাউকেই নৌসীমানা লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না।

৩ অক্টোবর নিরঞ্জন উৎসব
৩ অক্টোবর কলকাতার রেডরোডে অনুষ্ঠিত হবে নিরঞ্জন কার্নিভাল। এতে কলকাতা, বিধাননগর ও হাওড়ার এবারের সেরা ৭৫টি দুর্গাপ্রতিমা যোগ দেবে। বিকেল পাঁচটায় শুরু হবে এই নিরঞ্জন কার্নিভাল। গত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিরঞ্জন কার্নিভাল উত্সব শুরু করেন। এবার দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল এটি।