বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০ জন মানুষকে খুন করে তাদের মাংস খেয়েছে ওই দম্পতি

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
news-image

গহীন অরণ্যে ঘুরে বেরানো নরমুণ্ড শিকারীদের নিয়ে হলিউডে অনেক সিনেমা আছে। এসব নিয়ে বইও লেখা হয়েছে বিস্তর। শত্রুর মাথা কেটে নরমাংস সহযোগে ভোজে অংশ নেওয়ার এমন অনেক ঘটনার কথা জানিয়েছেন ‘ডার্ক কন্টিনেন্ট’-এর অভিযাত্রীরা। তবে এবার আর জঙ্গল নয়, দক্ষিণ রাশিয়ার শহর ক্রাসনোদার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক নরখাদক দম্পতিকে। তারা হলেন- দিমিত্রি বাকসিভ ও তার স্ত্রী নাতালিয়া বাকসিভাকে।

প্রায় ৩০ জন মানুষকে খুন করে তাদের মাংস খেয়েছে ওই দম্পতি। শিকারকে প্রথমে তারা মাদকদ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করত। এরপর জীবন্ত অবস্থায় তাদের ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলত। সবশেষে নরমাংস সহযোগে ভোজ সারতো এ দম্পতি।

দিমিত্রির বন্ধুরা জানান, তাদের কখনওই ঘরে ঢুকতে দিত না দিমিত্রি ও তার স্ত্রী। তবে ঘরের মধ্যে এমন ভয়ংকর ঘটনা চলছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা।

রাশিয়ান পুলিশ জানায়, ক্রাসনোদার শহরের রাস্তায় একটি মোবাইল ফোন পায় পুলিশ। ফোনটিতে মানুষের শরীরের কাঁটা-ছেড়া অঙ্গের ছবি দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা হয় পুলিশ সদস্যদের। এর আগে রাশিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে এক ব্যক্তিকে মানুষের শরীর থেকে মাংস খুবলে খেতে দেখা যায়।

এরপর ছবির ব্যক্তি ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে এই দম্পতির সামরিক একাডেমির বাড়িতে মধ্যবয়সী এক নারীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর পত্রিকায় ছাপা হওয়া ব্যক্তির ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দিমিত্রি বাকসিভকে গ্রেফতার করা হয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি তল্লাশি করে মানুষের শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেয়েছে, যার অনেকগুলো আবার কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখা। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে তারা। জানা গেছে, এর আগে রাশিয়ার একটি সেনা ঘাঁটিতে কিছুদিন কর্মরত ছিল নরখাদক দম্পতি।