শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাখি সাওয়ান্ত রাম রহিম সিংকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
news-image

দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত তার স্বপ্নপূরণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বলিউডের আলোচিত ও সমালোচিত আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্ত এ কথা বলেছেন। একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাখির দাবি, রাম রহিমের ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হানিপ্রীত সেই জায়গা তাকে ছাড়েনি।

রাখির মতে, তিনি রাম রহিমকে এতটাই কাছ থেকে চিনতেন, যে ধর্ষক বাবা সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত মানুষ। প্রকাশ্যে বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক হিসেবে পরিচয় দিলেও, হানিপ্রীত ও রাম রহিমের সম্পর্ক যে আদৌ বাবা মেয়ের ছিল না তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন রাখি। সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাম রহিম ও তার পালিতা ‘কন্যা’ হানিপ্রীতকে চেনেন তিনি। তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক তাও পরিস্কার জানেন বলে দাবি করেন তিনি।

রাখি বলেন, রাম রহিম তাকে জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করেছিলেন, তখন রাখি একবার বিতর্কিত গুহাতেও ঢুকেছিলেন। তাকে সেখানে একটি পানীয় খেতে দেওয়া হয়। সেটা খেয়ে নাকি তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। রাম রহিম তার সাথে অভব্যতা করার উদ্দ্যেশেই এই পানীয় খাওয়ায় বলে দাবি তার। তবে হানিপ্রীত সেই ঘনিষ্ঠতা আটকায়। কারণ তাদের এই ঘনিষ্ঠতা মেনে নেয়নি হানিপ্রীত। রাখি বলেছেন, তিনি যাতে হানিপ্রীতের সতীন না হয়ে উঠতে পারেন, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল সে। সে সময় রাম রহিমের নারী অনুসারীদের নির্যাতন ও পুরুষ অনুসারীদের খোজা করার বিষয়টি জানা ছিল না। তবে তিনি সব সময় নারীবেষ্টিত থাকতেন।

এ দিকে রাম রহিম সিংয়ের বায়োপিকে অভিনয় করছেন রাখি সাওয়ান্ত। সম্প্রতি এই সিনেমার একটি গানের শুটিং হয়েছে। ছবিতে রাম রহিমের পালিত কন্যা বর্তমানে পলাতক হানিপ্রীত ইনসানের চরিত্রে দেখা যাবে রাখিকে। তবে সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, তা এখনো ঠিক করা হয়নি। রাম রহিমের বায়োপিকটি রাখি ও তার ভাই রাকেশ সাওয়ান্ত প্রযোজনা করছেন।

রাম রহিমের এই বায়োপিকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আব হোগা ইনসাফ’। ছবিতে রাম রহিমের চরিত্রে রাজা মুরাদ আর তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করবেন এজাজ খান। ছবিটি পরিচালনা করবেন আশুতোষ মিশ্র।

বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কেলেঙ্কারি সর্বকালের সবচেয়ে বিতর্কিত ধর্ষণের মামলার মধ্যে অন্যতম। তার ডেরার নারীরা মুখ খোলার পর প্রকাশ্যে আসতে থাকে তার একের পর এক অপরাধ। দুই ধর্ষণ মামলায় তাকে ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। এছাড়া জরিমানা গুনতে হয়েছে ৩০ লাখ রুপি। গত ২৮ আগস্ট রোহতাক কারাগারে অস্থায়ী আদালতে রায় ঘোষণার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কারাগারে পাঠানো হয় রাম রহিমকে। তিনি এখন রোহতাক কারাগারের ১৯৯৭ নম্বর কয়েদি।