শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঋতব্রতকে বহিষ্কারের সাদামাটা ঘোষণা করলে চলবে না,ইয়েচুরির লিখিত নির্দেশ

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
news-image

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির লিখিত নির্দেশ ছিল, ঋতব্রতকে বহিষ্কারের সাদামাটা ঘোষণা করলে চলবে না। কোন প্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা-ও জনসমক্ষে আনতে হবে।

রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল সিপিএম পলিটব্যুরো।  সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির লিখিত নির্দেশ ছিল, ঋতব্রতকে বহিষ্কারের সাদামাটা ঘোষণা করলে চলবে না। কোন প্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা-ও জনসমক্ষে আনতে হবে। সীতারামের চিঠি পেয়ে শুক্রবার দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিবৃতি জারি করে ঋতব্রতের বহিষ্কারের কারণ
ব্যাখ্যা করেছেন। সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের ব্যাখ্যা, ঋতব্রত শুধু দলকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন, এমনটা নয়। তাঁর বিরুদ্ধে গঠিত দলীয় কমিশনের শুনানি গোপনে রেকর্ড করেছেন। এমনকী, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে সূর্যের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তাও রেকর্ড করেছিলেন ঋতব্রত। যে ঘটনা দলে নজীরবিহীন। নিজের ‘দোষ’ ঢাকতে পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন কেরলের বাম সরকারেরও সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি, তাঁর উপর হামলা হতে পারে বলে সিপিএমের দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। এইসব মন্তব্যে রীতিমতো ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন সীতারাম।
গত বুধবার ঋতব্রতকে বহিষ্কারের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। ওইদিনই সীতারামকে চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদনের আবেদন করেন সূর্য। এদিন তাঁকে চিঠি দিয়ে সীতারাম জানান, পলিটব্যুরো রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। এরপরই ঋতব্রতের বহিষ্কার সম্পর্কিত বিবৃতি জারি করেন সূর্য। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে গত ফেব্রুয়ারিতেই ঋতব্রতকে সতর্ক করা হয়েছিল। পরে আরও গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে তিন মাস সাসপেন্ড করা হয়। অভিযোগের তদন্তের গঠিত কমিশনের সামনে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কমিশন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর ঋতব্রতকে চার্জশিট দেওয়া হয়। বারবার ঋতব্রতকে সংশোধনের চেষ্টা করাও হয়েছিল’।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, নিজেকে সংশোধিত না করে ঋতব্রত বারবার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছেন। এরপর গত সোমবার সংবাদমাধ্যমে (এবিপি আনন্দ) সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি প্রকাশ্যে পার্টিকে ‘হেয়’ করার চেষ্টা করেন। এরপরই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।