শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্যান্ডেলে পৌঁছতে শুরু করেছে প্রতিমা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
news-image

আসছে আসছে নয়, পুজো এসেই গেল। মহালয় আসতে আর মাত্র কটা দিন। এরই মধ্যে প্যান্ডেলে পৌঁছতে শুরু করেছে প্রতিমা। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা গিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির পাড়ার ক্লাব। বিশ্বখ্যাত প্রতিমা শিল্পী গোরাচাঁদ পালের শিল্পভারতী শিল্পশালা থেকে দেবীদুর্গার প্রতিমা যায় বেহালার ব।শিা স্পোর্টিং ক্লাবে। শিল্পী বিপ্লব পাল জানালেন, প্রতিমা না পৌঁছালে ওরা প্যান্ডেলের কাজ করতে পারছিল না। আর আমাদের তো আগেই জানিয়েছিল, আগে আগেই ঠাকুর নিয়ে চলে যাবে ওরা। বিপ্লব আরও বললেন, নিজে ঠাকুরের বায়না দিতে না এলেও মণ্ডপে ঠাকুর ঢুকলেই সৌরভ চলে আসে। যত রাতই হোক, একবার ঠাকুর দেখেই যাবে। ঠাকুর দেখার নেশা আছে সৌরভের। উল্লেখ্য, কুমারটুলিতে ঠাকুর নিতে এসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির কাকাও। কলকাতার আরও এক ব। পুজো, শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়েও প্রতিমা চলে এসেছে। বিধায়ক সুজিত বসুর পুজো হিসেবে পরিচিত লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে প্রতিমা এসেছে শিল্পী প্রদীপ রুদ্র পালের ঘর থেকে। উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর পুজো প্রস্তুতিও এখন শেষ পর‌্যায়ে। খোলা আকাশ, তারাদের সমারোহ, পূর্ণিমার চাঁদ – শহরবাসীর কাছে এই শব্দগুলো যেন আজ শুধু শব্দ হয়েই রয়ে গিয়েছে। চোখ খুলে যেদিকেই তাকানো যায়, বড় বড় অট্টালিকা তাদের অস্তিত্ব জানান দেয় । ছোটবেলার খেলার মাঠ, সাঁতার কাটার পুকুরগুলির ঠিকানায় এখন কর্পোরেটের রমরমা । আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলো কেড়ে নিয়েছে শিশুর শৈশব, মুক্ত মনে নিঃশ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতা । উচ্চতায় একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়াই এখন লক্ষ্য । আর সেই লক্ষ্যে শহরবাসী আজ আবদ্ধ । এক চিলতে খোলা আকাশের খোঁজে দূর-দূরান্তে পাড়ি দিতে হয় তাঁদের । এবার পুজোয় সেই একটুখানি আকাশই খুঁজছে উল্টোডাঙা পল্লিশ্রীর মণ্ডপ। ৯২ সাল থেকে ফুটপাতে শুরু হওয়া চেতলা অগ্রণীর পুজো আট বছর পরে মাঠে জায়গা পায়। সেই থেকে শুরু হয় থিমের পুজো। ব্যস্ততা তাদেরও তুঙ্গে! এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল, প্রত্যেক বছর মহালয়ার দিন প্রতিমার চক্ষুদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও অন্যথা হবে না। ১৯ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মায়ের চোখ আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সাধারণের জন্য পুজোমণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে তৃতীয়ার দিন। এবারে ২৫ বছরের পুজোর থিমমেকার হলেন শিল্পী ভবতোষ সুতার। এবারের থিম, অন্তহীন। যার ট্যাগলাইন হল- আহুতিতে যজ্ঞের কাঠ । আবাহনে বিল্বের দারু। শেকড়েই কৃষ্টির সার। চেতলায় মহামায়া তরু। অন্তহীন পথ হেঁটে যাই। শুরু শেষ সময়ের খেলা। চেতনার নাই পরাজয়। বদলায় শুধু কালবেলা। এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে পুজোমণ্ডপ ও প্রতিমা। পুরো মণ্ডপটাই হচ্ছে চেলা কাঠ দিয়ে। যা যজ্ঞ এবং চিতায় ব্যবহৃত হয়। সেই কাঠ দিয়ে এক অনন্য মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। তারামণ্ডলের মতো দুর্গামণ্ডপের গায়ে লেখা থাকছে যা দেবী সর্বভুতেষু-চন্ডীমন্ত্র। একটি গাছের গুঁড়ি কেটে এক কাঠের উপরে মায়ের প্রতিমা করা হচ্ছে। জলের উপরে থাকবেন মা। মায়ের চতুর্দিকে থাকছে ছটির রিপুর স্তম্ভ। মণ্ডপে ঢোকার মুখে থাকছে শিবলিঙ্গ ও বোধিবৃক্ষ। যেখানে দেখানো হচ্ছে সৃষ্টি। নেই চেতনার পরাজয়।