শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমরা পালিয়ে এসেছি। না-এলে আমাদের মেরে ফেলতো

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
news-image

তমালিকা
শুধু প্রাণে বাঁচার আর্জি নিয়ে মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পারি দিয়েছে রোহিঙ্গারা। রাখাইন প্রদেশের উত্তর দিকের বনের মধ্যে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে। কোনও শিশু খিদের জ্বালায় কেঁদে উঠলে মুখ চেপে ধরেছে বাবা-মা। সেই শিশু এখনও বুঝতে পারেনি খিদে পেলেই খাওয়াটা তাদের কাছে
বিলাসিতা। সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে মায়ানমার থেকে তাঁরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশ করা মানে যাবতীয় অশান্তি শেষ নয়। বরঞ্চ বলা যেতে পারে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু।
২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার নতুন করে শুরু করে। সারা বিশ্বের তুমুল সমালোচনার মুখেও অত্যাচার অব্যাহত রাখে মায়ানমার। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার প্রাপক সু কিকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী নোবেল কমিটির কাছে প্রতিদিন হাজার হাজার আর্জি জমা পড়ছে নোবেল বাজেয়াপ্ত করার জন্য। সব কিছুর পরেও নির্বিকার মায়ানমার প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রায় তিন লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই শরণার্থীরা থাকবে কোথায় বা খাবে কি । কেউ জানে না। এমনকী বাংলাদেশ প্রশাসনের ও জানা নেই।
সব তো হল। কিন্তু সত্যি কি এর কোনও প্রতিকার নেই। যে কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন করতে শুরু করেছিল, সাময়িকভাবে সেই কারণটা নেই। অর্থাৎ রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা অস্ত্র বিরতি ঘোষণা করেছে একমাসের জন্য। কিন্তু অস্ত্র ছাড়তে নারাজ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর হাতে ইতিমধ্যে তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

বিশ্বের সমালোচনা গায়ে একরকার না-মেখে সু কির প্রশাসন রোহিঙ্গা নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘ তীব্র ধিক্কার দিয়ে জানিয়েছে, ধনুর ভাঙা পন নিয়েছে, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা নির্মূল করেই নিধন কাজ বন্ধ করা হবে। নাম দেওয়া হবে বিদ্রোহী। যাদের কিনা সৌদি আরব সমর্থন করছে। কিন্তু কিভাবে সমর্থন করছে , আদৌ করছে কি না তা নাই বা জানা হল। রাষ্ট্র যখন কথা বলে, বিরোধীরা যখন পাশে থাকে তখন নির্জাতিতকে প্রমান দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।