নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: ভাইরাসের ফলে শিল্পায়ন থেকে পর্যটন শিল্প সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ভারতবর্ষেই নয় দেশ-বিদেশে ও একই অবস্থা।
আনলক পর্ব শুরু হলেও জমায়েত করতে বারণ করছে বিভিন্ন দেশের প্রশাসন। কিন্তু মাত্র একজনের জন্য খুলে দেওয়া হল পর্যটন কেন্দ্র।
আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলেও ঘটনাটা সত্য। পর্যটকদের বরাবরই টানে ইনকা সভ্যতার নিদর্শন মাচুপিচু।
করোনা মহামারির কারণে পেরুর রহস্যময় নিদর্শন মাচুপিচুতে যেতে পারছিলেন না পর্যটকেরা।
কিন্তু জাপানি পর্যটক জেসি তাকায়ামার ভাগ্য ভালো বলতে হবে। টানা সাত মাস ধৈর্য ধরার পর তাঁর কপাল খুলেছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচুপিচু দেখার জন্য গত মার্চে পেরুতে এসেছিলেন জাপানি পর্যটক জেসি তাকায়ামা।
তবে করোনার মহামারির কারণে বন্ধ ছিল দর্শনীয় স্থানটি। কিন্তু সেই জায়গা দর্শন না করে ফিরে যেতে চাননি জাপানি পর্যটক জেসি তাকায়ামা।
অবশেষে শুধু ওই জাপানি পর্যটকের জন্যই সাত মাস পর মাচুপিচু খুলে দিল পেরু।
এই মাচুপিচু টুরিস্ট স্পটটি এমনই একটি নিদর্শন তৈরি যে কোনও পর্যটককে বার বার পিছু ডাকবে।
পেরুর সংস্কৃতিমন্ত্রী আলেজান্দ্রো নেইরা বলেন, বিশেষ অনুরোধ জানানোর পরে জেসি তাকায়ামাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
পেরুর পর্যটকদের শীর্ষ আকর্ষণ মাচুপিচু আগামী মাসে কম পর্যটকের জন্য আবার খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অল্প কয়েক দিন পেরুতে কাটানোর পরিকল্পনা ছিল জেসি তাকায়ামার।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাচুপিচুর কাছে আগুয়াস ক্যালিয়েন্টেস শহরে আটকা পড়ে যান তিনি। মাচুপিচু দেখা ছিল তাঁর স্বপ্ন।
সফরটিকে আশ্চর্যজনক বলেই মন্তব্য করেন তাকায়ামা। তাঁর স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
পেরুর সংস্কৃতিমন্ত্রী আলেজান্দ্রো নেইরা বলেন, পার্কের প্রধানের সঙ্গে ওই পর্যটককে ঘুরে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি ফিরে যাওয়ার আগে মাচুপিচু ঘুরে দেখে যেতে পারেন।