All posts by tapas

অবশেষে মহম্মদ মুস্তাক ফিরলেন তাঁর নিজের বাড়িতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাকদ্বীপ: গত কয়েকদিন আগে কাকদ্বীপ বাজারে অপরিচিত এক মানসিক অবসাদগ্রস্থ মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তারা এই বিষয়টি পুলিশকে জানান, কাকদ্বীপ থানার পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধকে স্থানীয় এক সোসাইটিতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

সোসাইটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব হ্যাম রেডিওর সঙ্গে বৃদ্ধের পরিবারকে খুঁজে বের করার জন্য। কয়েকদিনের মধ্যেই হ্যাম রেডিওর নিজস্ব নেটওয়ার্কের দ্বারাই পরিবারের হদিস পায়। বৃদ্ধের নাম মহম্মদ মুস্তাক(৭৭)। গ্রাম সিমলবারি ,থানা ও জেলা কিসানগঞ্জ, বিহার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই মানসিক সমস্যা রয়েছে মুস্তাকের। মাঝে মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আবার একা ফিরেও আসেন। এবার মাস দুয়েক আগে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন আর ফিরতে পারেননি। পথ ভুলে চলে আসেন কাকদ্বীপে। আজ তার ছেলে ও নাতি এসেছেন কাকদ্বীপ থানার আই সি শিবুঘোষ, হ্যাম রেডিও-র প্রতিনিধি দিবস মন্ডল ও অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাবাকে নিতে। বাবাকে পেয়ে চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবাকে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে।

অসামাজিক কর্মকান্ডের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মহিলা সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউ জলপাইগুড়ি: প্রকাশ্য দিবালোকে, নিউ জলপাইগুড়ি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চলছিল মদ গাঁজা জুয়ার মতো অসামাজিক কার্যকলাপ।খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় এক মহিলা সাংবাদিককে। ঘটনা সূত্রে প্রকাশিত, অম্বিকা নগর রেলগেট সংলগ্ন বাজার এবং বাজার সংলগ্ন মাঠে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ দিনের আলোয় ঘটে।

মঙ্গলবার দুপুরেও প্রতিদিনের মতো অম্বিকানগর রেলগেট সংলগ্ন বাজার এলাকায় দিনের আলোয় চলছিল আবাধে মদ্যপান, গাঁজা সেবন ও জুয়ার আসর। সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর পৌঁছাতেই ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যম পৌঁছালে অসামাজিক ব্যক্তিরা সেই জায়গা ছেড়ে ছুটে পালিয়ে যায়। এরপর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মোহাম্মদ কালাম নামে এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির ওপর চড়াও হয়।

জানা যায়, উক্ত ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের মহিলা প্রতিনিধিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করে এবং মারমুখী হয়ে ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় মহিলা ব্যবসায়ীয়ারাও অভিযোগ করে বলেন, দিনে দিনে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে মদ কেনা বেচার মতন কাজকর্ম চলতে থাকে। এছাড়াও রেলের জমি দখল করে বানানো হয়েছে শুয়োরের খাটাল। তবে সেখানে শুয়োর না থেকে পড়ে রয়েছে স্তুপিকৃত তাসের বান্ডিল থেকে শুরু করে মদের বোতল,গ্লাস। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে জায়গাটি হলেও প্রশাসন কোনো নজরই এদিকে দেয় না। এ বিষয়ে আক্রান্ত মহিলা সাংবাদিক জানান, এই ঘটনার তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ প্রশাসন নেবে সেটা সময় সাপেক্ষ।

নামখানা ব্লকের জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মন্ডল আর নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মন্ডল আর নেই। মঙ্গলবার গভীর রাতে বাইক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে নামখানা ব্লকের মুন্সি রোডে একটি মেশিনভানকে পাশ কাটাতে গিয়ে অমিতের স্কুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় বাইকে থাকা অমিতসহ বাকি দুইজন গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গে নামখানা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁদের অবস্থার বেগতিক দেখে কাকদ্বীপ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদের মধ্যে অমিতের অবস্থা ছিল খুবই সংকটজনক। তাই অমিতকে সোজা পিজিতে নিয়ে আসা হয়। পিজিতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অমিতের মৃত্যু হয়। অমিত নামখানা ব্লকের পরমেশ্বর মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন ব্রতজিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, জগদ্দল: বিশ্বমঞ্চ থেকে স্বীকৃতি পেলো জগদ্দলের বছর ২২শের যুবক। ৮৫টি এক টাকার কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরি করে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুললেন জগদ্দল কিউটিয়ার ব্রতজিত সরকার। দীর্ঘ ১০ মাস পরিশ্রম করে তার এই সাফল্য বলেই জানিয়েছে ব্রতজিত।

বিশ্বমঞ্চের একাধিক গাইড লাইন মেনেই এক টাকার কয়েন দিয়ে টাওয়ার তৈরি করেছে সে। যার দরুন গোটা পৃথিবীর একাধিক প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে ব্রতজিত। ইতিমধ্যেই গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ব্রতজিতের এই সাফল্যে খুশি সরকার দম্পতি। শুধু তাই নয় ব্রতজিতের এই সাফল্যে খুশি জগদ্দলের কেউটিয়ার বাসিন্দারাও।

আগামী দিনে ছেলের কাজ থেকে আরো নতুন কিছু সৃষ্টির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সরকার দম্পতি। ব্রতজিতও চায় আগামী দিনে আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে দেশবাসীর কাছে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার।

তালদিতে অমর সংঘের উদ্যোগে শুরু হল ২ দিনের শিশু উৎসব

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং -তালদি অমর সংঘের উদ্যোগে রবিবার ক্যানিংয়ের তালদি স্টেশন সংলগ্ন ক্লাব প্রাঙ্গনে শুরু হল দুই দিনের শিশু উৎসব।প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে ১৭ তম বর্ষের এই শিশু উৎসব এর সূচনা করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত প্রাক্তন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় রবীন বলদে,ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বসু,সমাজসেবী যোগেশচন্দ্র রায়,তালদি পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা সাঁফুই,উপপ্রধান কালিচরণ মাল,তপন হালদার,সত্যরঞ্জন নস্কর,অমল নস্কর সহ বিশিষ্টরা।

উল্লেখ্য শিশুরা যাতে করে সর্বদাই হাসি,আনন্দে থাকে তার জন্য এই উৎসবের আয়োজন। পাশাপাশি শিশুর অভিভাবকরা কি ভাবে তাঁদের সন্তান কে সুন্দর অগ্রগতির পথে চালিত করবেন তারও পরামর্শ প্রদান করা হয় এই শিশু উৎসবে। দুই দিনের এই উৎসবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৫২৫ জন শিশু ও তাদের অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করে।উৎসবে শিশুদের জন্য নাচ,গান,কবিতা আবৃত্তি,অঙ্কন প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয়।

শিশু উৎসব আয়োজক তালদি অমর সংঘ ক্লাবের সভাপতি আশিষ নাইয়া বলেন ‘শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আগামীর দূত। তারা যাতে সুস্থ পরিবেশে জ্ঞানের আলোয় বিকশিত হয় তারজন্য এই উৎসব।

নামখানা ব্লকের দ্বারিকনগর শৈবতীর্থের মাঠে পালিত হলো চৌদ্দমাদল উৎসব

ঝোটন রয়, নামখানা: নামখানা ব্লকের সার্বজনীন চৌদ্দমাদল উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দ্বারিকনগর শৈবতীর্থের পার্শ্ববর্তী ময়দানে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে রীতিনীতি মেনে এই চৌদ্দমাদল উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

এই বিশেষ দিনটিতে স্থানীয় এলাকাবাসীরা মিলে নতুন বস্ত্র পরে সবাই পায়ে পা মিলে শোভাযাত্রা করে অধিবাসের ঘটোৎতুলন করতে যাওয়া হয় নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীতে।
শত শত মানুষের শোভাযাত্রায় এই উৎসব মুখরিত হয়ে ওঠে। পাঁচ দিনব্যাপী চলে এই কৃষ্ণনাম হরিনাম সংকীর্তন। অনুষ্ঠানের কয়েকটা দিন থাকে মহাপ্রভুর প্রসাদ বিতরণ। এই বছর হাজারো হাজারো মানুষ মহাপ্রভুর প্রসাদ গ্রহণ করেছেন।


এই প্রসঙ্গে চৌদ্দ মাদল উৎসব কমিটির সাংগঠনিক প্রধান তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা বলেন, কলিযুগে হরিনাম কৃষ্ণ নামই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম। কারণ আমরা জন্মগ্রহণ করেছি সেই হরিনাম কৃষ্ণ নামের মধ্য দিয়ে। আবার এই পৃথিবী থেকে যখন আমাদেরকে চলে যেতে হবে তখন হরিনাম কৃষ্ণ নাম করতে করতে আমাদেরকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে দ্বারিকনগর এই শৈবতীর্থের মাঠে উৎসবে সামিল হয়ে হরিনাম সংকীর্তনে মেতে উঠি। সর্বোপরি এই ধামকে আমরা মায়াপুর ধাম ও বৃন্দাবন ধাম করে তুলি।

হ্যাম রেডিও এর প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরছেন ভেমুলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, গঙ্গাসাগর: তীর্থস্থান গঙ্গাসাগর অর্থাৎ বাবা কপিলমুনির মন্দির। প্রতি বছরই পৌষ সংক্রান্তির দিন পূর্ণ অর্জনের উদ্দেশ্যে ভক্তরা ডুবদেন গঙ্গাসাগরে। লাখো মানুষের সমাগমে দ্বীপভূমি হয়ে উঠে এক মহামিলনতীর্থ।

“সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।” মেলা শেষ হয় কালের নিয়মে। পূর্ণ অর্জন করে পুন্যার্থীরা ফেরেন তাঁদের আপন ডেরায়। অনেকে আবার সাথীহারা হয়ে কিংবা প্রিয়জনদের অবহেলায় রয়ে যান এই গঙ্গাসাগরে। দিশেহারা হয়ে পড়ে সেই সব অসহায় পুণ্যার্থী । তাঁদেরকে বাড়ি ফেরাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কোমর বেঁধে নেমেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব বা হ্যাম রেডিও। হ্যাম রেডিওর উদ্যোগে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন অনেকই। আর আজ ফিরছেন এক মূখ ও বধির মানুষ। বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার বেলেপল্লী গ্রামে। নাম ভেমুলা ভেঙ্কটস্বামী (৫৯)। প্রিয়জনকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তেমন ভাবে কথা না বলতে পারায় শুধুই কাঁদছিলেন। বিষয়টি প্রথমে যোগীরাজ শ্যামাচরণ সনাতন মিশনের এক আবাসিকের নজরে আসে। এর পরে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব হ্যাম রেডিওর সদস্য দিবস মণ্ডল-এর সঙ্গে।

খবর দেন কাকদ্বীপ থানাতেও। আশ্রমের আবাসিকরা জানান, আপনারাই এনার ত্রাতা। একজন মানুষ যিনি কথা বলতে পারেন না লিখতে পারেন না ইঙ্গিতে হয়ত কিছু বলছেন। আর আবেগে কেঁদে ফেলছেন প্রায়ই। এমন মানুষের বাড়ি খুঁজে বের করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের কাছে। মানুষটির কাছে দীর্ঘক্ষণ থেকে কিছু বোঝার চেষ্টা করেন হ্যাম রেডিও-র সদস্য পেশায় শিক্ষক দিবস মণ্ডল। সংগ্রহ করা কিছু তথ্য নিয়েই শুরু হয় হ্যামেদের খোঁজ “মিশন গঙ্গাসাগর”। বিষয়টাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে কয়েকদিনের চেষ্টায় হ্যাম রেডিওর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেলে তার বড় ছেলে ভেমুলা রামবাবু। এখানেও দেখাদেয় এক নতুন সমস্যা ভাষার। ছেলে তেলেগু ছাড়া অন্য কিছুই জানে না। আবারও অন্ধ্রপ্রদেশের হ্যাম সদস্যদের সহায়তায় আমরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হই।

জানা যায় গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে এসে সাথীহারা হন তিনি। দুই ছেলে-বৌমা নাতি-নাতনিদের নিয়ে তাঁর সংসার। ছেলে নাতি নাতনিদের ছবি দেখে কান্নায় আবেগে ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ । আর আশ্রমের আবাসিকরা অবাক হয়ে দেখলেন সেই দৃশ্য ।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার ইন্দ্রবদন ঝাঁ IPS, কাকদ্বীপ মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, আই, সি কাকদ্বীপ থানা শিবু ঘোষ ও হ্যাম রেডিও-র সদস্য দিবস মণ্ডল এর উপস্থিততে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছেলের সঙ্গে রওনা দিলেন বাড়ির ঠিকানায়।

মাহমুদপুর গোবিন্দ স্মৃতি শিক্ষা নিকেতনের সরস্বতী পুজোর থিম হল আগামীর স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: তমলুকের মাহমুদপুর গোবিন্দ স্মৃতি শিক্ষা নিকেতনে সরস্বতী পুজোর এবারের ভাবনা ছিল আগামীর স্বপ্ন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার মামুদপুর গোবিন্দ স্মৃতি শিক্ষানিকেতনে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও সরস্বতী পূজায় থিমের আড়ম্বর সকলের নজর কেড়েছে।

এই বছরের মণ্ডপ ভাবনা ছিল আগামীর স্বপ্ন। করোনাকালের দীর্ঘ একঘেয়েমি ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নবিমুখ করে তুলেছিল। ছাত্রছাত্রী সহ সকলের স্বপ্ন যাতে চোখের তারায় সত্যি হয়ে ওঠে বাক দেবীর কাছে সেই প্রার্থনা জানিয়ে বাস্তব রূপ দেওয়া হয়েছে মণ্ডপ ভাবনাকে।

মণ্ডপটি সেজে উঠেছে সুদৃশ্য কারুকার্য ও বর্ণবিচ্ছুরিত আলোকমালায়। সেখানে দেখানো হয়েছে সাফল্যের সিঁড়ি, লক্ষ্যভেদ, বৃক্ষশিশুর মহীরূহ হয়ে ওঠা, কালের চাকা ও ঘড়ির সাথে ছুটে চলা ইত্যাদি নানাবিধ প্রতীকী দৃশ্য। সেই সঙ্গে চলছে তিনদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মহাকাশ প্রদর্শনী, বিজ্ঞানমূলক প্রদর্শনী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা । শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও প্রাক্তন-বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রাণ পেয়েছে মণ্ডপসহ সমগ্র অনুষ্ঠানটি। এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলকানন্দ মাইতি দর্শকদের প্রশংসায় আপ্লুত হয়ে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  সেই সঙ্গে সরস্বতী মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন স্কুলের প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীরা আরো ভালো রেজাল্ট করুক ।

নামখানা ব্লকে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী 

ঝোটন রয়, নামখানা:

২৬ শে জানুয়ারিতে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা মানবদরদী বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই ছিল তাঁর মূল ব্রত। তিনি রোগীদের হাতে নয় রকমের ফল ও একটি করে বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দিলেন। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরেই এই ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিতে মুমূর্ষ রোগী ও অসহায় দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে এসেছেন। এবছরও তা অন্যথা হয়নি।

এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বাবু বলেন, আমি চাকরি পাওয়ার পর আমার মা প্রথম আমাকে এই রকম দিশা দেখিয়েছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমি অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করে চলেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি যতদিন বাঁচবো আমি ততদিন মুমূর্ষু রোগী ও অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া এক অসহায় রোগী বলেন, উনি প্রতিবছর ১৫ আগস্ট ও এই ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিতে হসপিটালে রোগীদের ফল বিতরণ করেন। গত বছর ও পেয়েছিলাম। এই বছর ও প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ওনার হাত থেকে ফল ও বিস্কুট পেলাম। খুব ভালো লাগলো এইরকম ভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

নামখানা ব্লকে উদযাপিত হল নেতাজির 124 তম জন্ম জয়ন্তী

ঝোটন রয়, দক্ষিন 24 পরগনা : নামখানা ব্লক নেতাজি জন্ম জয়ন্তী উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনায় আজ নামখানা ব্লকে উদযাপিত হল নেতাজির 124 তম জন্ম জয়ন্তী। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত কুমার মালি, উপস্থিত ছিলেন নামখানা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত গিরি, বিশিষ্ট সমাজসেবক বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা, ছিলেন উদযাপন কমিটির সভাপতি সত্যপদ নন্দ, সহ-সভাপতি ভাগবত রক্ষিত, সম্পাদক প্রতিমা মিশ্র সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এই অনুষ্ঠানে নামখানা ব্লকের 125 জন পড়ুয়া বসে আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

আলোচনা হয় নেতাজির সম্পর্কে। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন সারা বাংলা নেতাজি জন্ম জয়ন্তীর সদস্য মনি শংকর পটনায়েক। এই প্রসঙ্গে উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি ভাগবত রক্ষিত বলেন, নেতাজি কোনো কিছু কাজে আপোষ করেননি। তিনি কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। একজন বাঙালি হয়ে শুধু ভারত বর্ষ নয়, ভারতবর্ষের বাইরে গিয়েও মানুষকে সংগঠিত করেছেন। মানুষকে একত্রিত করেছেন। এক নামেই আজ তাঁকেই চেনেন, তিনি নেতাজি।

আজ এই বিশেষ দিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী চলবে নেতাজী উৎসব। এছাড়া নামখানা ব্লকের মাধ্যমিক স্তরে দুস্ত ও মেধাবীদের সাহায্য প্রদান। এলাকার দুস্থ গরীব মানুষদের জন্য থাকছে বস্ত্র বিতরণ।