মানুষ খুন করার জন্য অর্ডার নেওয়া হয়,ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার, ধৃত যুবক

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -কি দিন এলো রে বাবা!এবার বাড়িতে বসেই অর্ডার করে মানুষ খুন করা যাবে!বাড়িতে বসে ভাবছেন,শত্রুকে চিরতরে হঠিয়ে দেবেন?এক ফোনেই মিলবে সুরাহা!ফেলো কড়ি,মাখো তেল!৫০ হাজারে হাফ মার্ডার আর ১ লাখে ফুল মার্ডার!বাড়িতে বসেই অর্ডার করলেই খেল খতম। বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা বেচার ক্ষেত্রে সকলের নজরে আনার জন্য বিঞ্জাপন দেওয়া হয়।এবার মানুষ খুন করার জন্য অর্ডার নেওয়া হয়, এমনই এক বিঞ্জাপনের ভিজিটিং কার্ড জনসমকক্ষে আসতেই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।ভিজিং কার্ডে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়। এমন কি যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বর ও রয়েছে।
ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সোমবার ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে চিরুনী তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ।অভিযুক্ত যুবক বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লায় কে গ্রেফতার করে।পাশাপাশি ধৃতের বাড়ি থেকে একটি বন্দুক,দু রাউন্ড কার্তুজ ও বেশকিছু ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।ক্যানিং থানার পুলিশের তরফে ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,বেআইনি অস্ত্র পাচারের ঘটনায় ২০২২ এ আগষ্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল বুলেট ওরফে মোরসেলিম মোল্লা।এছাড়াও ২০২১ এর ৭ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতের বধুকুলার ধর্মতলা গ্রামে খুন হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি সহ তিনজন।খুনের মুল মাষ্টামাইন্ড রফিকুল সরদারের ভাগ্নে এই বুলেট ওরফে মোরসেলিম।
পুলিশ জানিয়েছে,ঘটনার সাথে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে এবং কোথা থেকে ভিজিটিং কার্ড ছাপা হতো সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।