ফ্রেজারগঞ্জের ফ্রেজার সাহেবের বাড়িতে আঁকা হল ফ্রেজার সাহেবের ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি,নামখানা:দীর্ঘ কয়েক দশক পর ফ্রেজারগঞ্জ -এ নিজের বাংলোতে ফিরলো ফ্রেজার সাহেব। আর তা দেখতে বকখালীতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজন ভিড় জমিয়েছেন ফ্রেজার সাহেবের বাংলোর সামনে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, ফ্রেজার সাহেব। যার নাম অনুসারে নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ নামকরণ হয়েছিল। পুরো নাম এন্ড্রু ফ্রেজার। বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর এন্ড্রু ফ্রেজার সাহেবের নামে এই স্থানের নামকরন হয় ফ্রেজারগঞ্জ। আগে এই জায়গাটির নাম ছিল নারায়নতলা।
এবার ফ্রেজার সাহেবের বাংলোতে ফুটে উঠলো তার নিজেরই ছবি। অনেকেই হয়তো নাম শুনলেও চোখে দেখেননি। এবার ফ্রেজার সাহেবের বাংলোতে তারই ছবি ফুটিয়ে তুলল ফ্রেজারগঞ্জেরই যুবক। বঙ্গোপসাগরের তীরে ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্র সৈকতের পাশে ফ্রেজার সাহেবের বাংলো আজ ধ্বংসাবশেষের পথে। তবে বকখালীতে আসা পর্যটকদের একটা দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্র সৈকতের পাশে থাকা এন্ড্রু ফ্রেজারের এই বাংলো। জরাজীর্ণ সেই বাংলোতেই ফ্রেজারগঞ্জের দেবনিবাস এলাকার যুবক কৌশিক প্রধান রং তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলল অবিকল ফ্রেজারকে। তাকে সহযোগিতা করেন তার কয়েকজন ভাই এবং বোন।
তবে অনেকেরই আগ্রহ থাকে কে এই ফ্রেজার সাহেব? ফ্রেজার সাহেবের পুরো নাম এন্ড্রু হিন্ডারসন ফ্রেজার। ১৮৪৮ সালের ১৪ই নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭১ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরেও তিনি পশ্চিমবাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একজন সুদক্ষ লেখকও ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে থাকার সুবাদে বকখালীতে বঙ্গোপসাগরের তীরে বসবাসের জন্য তিনি একটি বাংলো তৈরি করেন। ১৯১৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যুর পর এখনো ফ্রেজারগঞ্জের সমুদ্র সৈকতের পাশেই রয়ে গিয়েছে তার এই বাংলোটি। কয়েক দশক পর সেই বাংলোতেই ফুটে উঠল তার প্রতিচ্ছবি। ফুটিয়ে তুললেন নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ এলাকার দেবনিবাসের যুবক কৌশিক প্রধান। এ বিষয়ে কৌশিক বলেন, ছবি আঁকার নেশা তার দীর্ঘদিনের। সময় পেলেই রং তুলি দিয়ে বিভিন্ন মহান মানুষের পাশাপাশি ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বেরও ছবি ফুটিয়ে তোলেন। এবার ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্র সৈকতে আসলেই দেখা যাবে ফ্রেজার সাহেবের বাংলোতে কৌশিক প্রধানের ফুটিয়ে তোলা ফ্রেজার সাহেবের ছবি।