মহিলার ঠোঁট কামড়ে নিয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত স্বামী

অরিক দাশ, বাসন্তী – স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা। তারপরও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠলো খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে। মহিলা ঠোঁট কামড়ে নিয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত স্বামী।দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত আমঝাড়া পঞ্চায়েতের ঢুঁড়ি ৭ নম্বর করমদিনীবাটী এলাকার ঘটনা।
পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রাকিব মোল্লা।গত কয়েকদিন আগে রাকিব শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সেখানেই স্ত্রী প্রিয়া মোল্লার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরপর মদ ও সিদ্ধি খাওয়াকে কেন্দ্র বিবাদ বাধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। শুরু হয় গণ্ডগোল। মদ ও সিদ্ধি খাওয়ার প্রতিবাদ করেন প্রিয়া। অভিযোগ, তখনই মহিলার ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক। মেয়ের চিৎকারে তাঁর মা আজমীরা খান এগিয়ে গেলে, তাঁর ঠোঁটও কামড়ানোর চেষ্টা করে জামাই রাকিব।পাশাপাশি শ্বশুর আসরাফ খান কে মারধর করে বলে অভিযোগ
ঘটনার সময় কোনও রকমে জামাইয়ের কামড়ের হাত থেকে বাঁচেন শাশুড়ি।এ দিকে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের উপর এই রকম নৃশংস ঘটনা মেনে নিতে পারেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন। সেই চিৎকারে প্রতিবেশীরা এক জোট হতেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রাকিব খান।
রাকিবের স্ত্রী প্রিয়া মোল্লাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। সেখানে ওই বধুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতেই কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রিয়া মোল্লা জানিয়েছেন, “মদ ও সিদ্ধি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ করেই বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকায়। তারপর আচমকা ঠোঁটে কামড় বসায়।ঠোঁটের মাংস টুকরো নিয়ে চিবোতে থাকে।’