৪ কিশোরের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন জনৈক ব্যাক্তি

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং – রবিবার ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় নটার ঘরে।রেল লাইন সংলগ্ন ক্যানিংয়ের মিঠাখালীর একটি ক্লাব ঘরে চার কিশোর গল্প করছিল।সেই সময় রেল লাইনের মাঝে এক বছর পঁয়তাল্লিশ বয়সের ব্যক্তি আনমনে হেঁটে চলেছেন।গন্তব্য সম্ভবত ক্যানিং ষ্টেশন। পিছনে তখন দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসছে ডাউন শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকাল।ব্যক্তির থেকে চলন্ত ট্রেন মাত্র ১০০ মিটার দূরে।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। মুহূর্তে চার কিশোর চিৎকার করে বলতে থাকে কাকু সরে যান। পিছনে ট্রেন আসছে।আচমকা চার কিশোরের চিৎকারে সম্বিৎ ফেরে।কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধান। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাতছানি। কোন কিছুই না ভেবে রেল লাইনের পাশেই ঝাঁপিয়ে পড়েন দিলীপ দাস নামে ওই ব্যক্তি।ট্রেন চলে যায়।প্রাণ রক্ষা হল বটে। ঝাঁপ দেওয়ায় গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। চার কিশোর তাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
পরে দিলীপ দাসের পকেট থেকে ফোন বের করে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে চার কিশোর। জখম ব্যক্তির দূরসম্পর্কের এক বোনের সাথে যোগাযোগ হয়।ওই রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়েও আসেননি কেউ। অগত্যা চার কিশোর আহতের সেবা শুশ্রূষা করে। রাত কেটে ভোর হয়।ততক্ষণে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দিলীপ।পরিবারের সাথে রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।তবে যাওয়ার আগে যাদের জন্য প্রাণ ফিরে পেলেন সেই কিশোরদের হঠাৎ বুদ্ধিকে তারিফ করে প্রশংসা করেছেন।
উদ্ধারকারী সাগর পৈলান নামে এক কিশোর জানিয়েছে, চিৎকার করতেই উনি লাইনের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ট্রেন চলে যায়। ভেবেছিলাম যা হওয়ার তাই হয়ে গিয়েছে।পরে অন্ধকারের মধ্যে দেখতে পাই পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা চারজন মিলে একটি টোটো গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।এমন কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।