শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রসুতির মৃত্যু ঘিরে গভীর রাতে হাসপাতালে ধুন্ধুমার কান্ড

News Sundarban.com :
মে ১২, ২০২৩
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – এক প্রসুতির মৃত্যু ঘিরে গভীর রাতে চাঞ্চল্য ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার গভীর রাত ১২ টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ‘মাতৃমা’ তে। মৃত প্রসুতির নাম অনিমা বিশ্বাস(২৭)। মৃতের বাড়ি ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের দুমকি গ্রামে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় ৮ বছর আগে একই পঞ্চায়েত এলাকার হাতামারী গ্রামের প্রভাস নস্করের মেয়ে অনিমার সাথে বিয়ে হয় দুমকি গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের। দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে।বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে ভর্তি হন অনিমা। বৃহষ্পতিবার সকালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে জানতে পেরে খুশির বন্য বয়ে যায় বিশ্বাস ও নস্কর পরিবারে মধ্যে।তবে সেই খুশির জোয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বৃহষ্পতিবার রাত ৯ টা নাগাদ মৃত্যু হয় প্রসুতির।অন্যদিকে সদ্যজাত সন্তানের অবস্থাও সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে।

প্রসুতি মৃত্যুর খবর পেয়ে নস্কর ও বিশ্বাস পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ এলাকার শতাধিক লোকজন রাতেই মাতৃমার সামনে জড়ো হয়।সেখানে চিকিৎসার গাফিলতি তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ চিকিৎসক,নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের ওপর।গভীর রাতে এমন ঘটনায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজীর হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে।দীর্ঘ প্রায় তিনঘন্টার চেষ্টায় মৃতের পরিবার পরিজনদের কে আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অন্যদিকে সদ্যজাত শিশু সন্তানের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলে ক্যানিং থানার পুলিশের উদ্যোগে সদ্যজাত কে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।প্রসুতির মৃতদেহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা না দেওয়ায় তারা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় কোন অভিযোগ না করলেও তাঁদের দাবী,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে জঙ্গলরাজ চলছে।মাতৃমা তে কর্তব্যরত চিকিৎসক,নার্স সহ অন্যান্য কর্মীরা রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার করে থাকে।ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়না।জোরপূর্বক টাকাপয়সা নিয়ে অযথা হয়রানি করা হয়। যার ফলে প্রায় প্রতিদিনই শিশু মৃত্যু সহ প্রসুতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।