মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে শ্রমিকদের কাছ থেকে দাবিপত্র নিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী

News Sundarban.com :
মে ৭, ২০২৩
news-image

ঝোটন রয়, মৌসুনি দ্বীপ: ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেনা শ্রমিকরা। এমত অবস্থায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। আজ রবিবার সকাল সকাল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী হাজির হয়েছেন মৌসুনি দ্বীপের কুসুম তলায়। তিনি এসে ১০০ দিনের কাজের মজুরির যে অর্থ পাওয়ার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে দাবি পত্র জমা করার লক্ষ্যে সমস্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে আবেদন পত্র তিনি নিজের হাতে নেন। তিনি শ্রমিকদের বলেন, এবং আশ্বাস দেন যে আমি সম্পূর্ণভাবে চেষ্টা করছি কিভাবে আপনাদের পাওনা টাকা আপনারা পেতে পারেন।

এই আবেদনপত্র পূরণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মৌসুমী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাসনা বানু বিবি, উপস্থিত ছিলেন নামখানা ব্লকের প্রাণী ও মৎস্য দফতরের আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কর্মী সহদেব মাইতি, উপস্থিত ছিলেন ব্লক নেতৃত্ব বিশ্বজিৎ নাইয়া, সুশীল পাত্র, কাইম খাঁ সহ তৃণমূলের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।

এই প্রসঙ্গে মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শ্রমিকদের টাকা আটকে রয়েছে। আজ ৩০০ জন শ্রমিক এসে নিজেদের হাতে মন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি পত্র তুলে দিয়েছেন।’ সত্যি ভাবতে অবাক লাগে শ্রমিকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই কাঠফাটা রোদ্রে যেভাবে শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করে তারা রুজি রোজগার চালাচ্ছে তার দাম যদি না পায় তাহলে তো সমস্যা থাকবে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী সহদেব মাইতি বলেন,’ প্রত্যেক সুপারভাইজার এবং রাজনৈতিক দলীয় কর্মীদের মনে যে স্পিড জাগিয়েছেন মন্ত্রী। এই শ্রমিকদের কাছ থেকে দাবি পত্র নেওয়া এটা সত্যি দরকারই ছিল। টাকা পেতে মানুষের দেরি হোক কিন্তু শ্রমিকদের হাত থেকে মন্ত্রী যে তাদের দাবিপত্র নিয়েছেন এতে শ্রমিকরা খুব খুশি। আমাদের সুন্দর বন উন্নয়ন মন্ত্রী খুব শীঘ্রই এর কোন না কোন ব্যবস্থা করবেন।’

 

অন্যদিকে ও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এমনই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী মানুষজন কেমন আছেন, কি অবস্থাতে রয়েছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খন ক্ষতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী। তিনি এসে বাইকে করে মৌসুনির নদী বাঁধ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরে দেখেন। ফ্লাড সেন্টার গুলোও পরিদর্শন করেন। এবং এই ঘূর্ণিঝড়ে কিভাবে মানুষজন তাদের নিজেদের নিরাপত্তায় থাকবে তারও তিনি একটা ব্যবস্থা করেন। ত্রাণ শিবির গুলো যাতে দ্রুততার সহিত ব্যবস্থা নিতে পারে, এবং পুলিশ প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।