পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারের মত কাজ করছে, জলপাইগুড়িতে বললেন সায়ন্তন
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি:
পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারের মত কাজ করছেন। জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে বললেন সায়ন্তন বসু। জলপাইগুড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার শাহর সমর্থনে এক পথসভায় এসে শাসক দল তৃণমূলকে কড়া বাক্যবাণে বিঁধলেন তিনি। জলপাইগুড়ির একাধিক তৃণমূল নেতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগও করেন তিনি।
সায়ন্তন বসু বলেন, জলপাইগুড়ির মানুষ খুব ভালোভাবে জানেন কিভাবে চিটফান্ডে কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে। কোথাও সারদার নামে, কোথাও রোজভ্যালির নামে কোথাও আয়করের নামে। কোটি কোটি টাকা লুট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার অভিযোগ, জলপাইগুড়ির একাধিক তৃণমূল নেতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ললিত মোদী, মেহুল চোকসিদের গলা টেনে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক গুলোকে ফেরত দিয়েছে। আজ অব্দি তৃণমূলের আমলে কোন দুর্নীতির টাকা ফেরত পাওয়া গেছে? প্রশ্ন সায়ন্তন বসুর।
জলপাইগুড়িবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি জলপাইগুড়ির মানুষকে প্রশ্ন করতে চাই, আর কতকাল এভাবে অনুন্নয়নকে প্রশ্রয় দেবেন? এখানে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটছেন, আর আপনার ছেলে বিজেপি শাসিত গুজরাটে কাজ করছে। এখানে তৃণমূলের সভায় ভাষন শুনছেন, আর আপনার ছেলে বিজেপি শাসিত কর্নাটকে কাজের ব্যবস্থা করতে গেছে। এখানে তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছেন আর আপনার ছেলে বিজেপি শাসিত অসমে ব্যবসা করছে। পশ্চিমবঙ্গে একটা জিনিসই হচ্ছে সেটা তোলাবাজি। চারিদিকে গুন্ডা রাজ চলছে।
সম্প্রতি অরূপ বিশ্বাস জলপাইগুড়িতে এসে দাবি করেছিলেন ২৫ শে ২৫ টি আসনই তৃণমূল দখল করবে। তার প্রেক্ষিতে সায়ন্তন বসু বলেন, এই ফ্যাসিস্ট মানসিকতা বন্ধ করা উচিত। যদি বিরোধীর ভোটারদের ভোট দিতে না দেন তাহলে ২৫ শে ২৫ হবে। যদি সল্টলেক স্টাইলে ভোট হয় তাহলে পুরসভা বিরোধী শূন্য হবে। পঞ্চায়েতে এরকম করেছিলেন তাই লোকসভা ভোটে মানুষ উত্তর দিয়েছে। পুলিশ যেভাবে একজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের লোককে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নমিনেশন দিতে আটকালেন, এটা খুবই আনএক্সপেক্টেড। পুলিশের একটা কাজ নয়। পুলিশ জায়গায় জায়গায় যাচ্ছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ এখন তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছে। ইউনিফর্ম পড়ে তৃণমূলের হার্মাদের ভূমিকায় কাজ করছে।