পুরসভা এখন দুর্নীতির আখড়া, কটাক্ষ বিজেপির টাউন মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার শাহর

মনোজ রায়, জলপাইগুড়ি:
সামনেই নির্বাচন জলপাইগুড়ির। তার আগে তৃনমূল শাসিত পুরসভাকে দুর্নীতির আখড়া বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি টাউন মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার শাহ।। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ির সাধারন মানুষই বলছে তৃণমূল শাসিত পুরসভা দুর্নীতির আখড়া হয়ে গেছে। এখানকার কাউন্সিলররা কাটমানি খেতে ব্যস্ত। একটা ট্রেড লাইসেন্স বানাতে গেলে মানুষকে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু কিছু টাকা। দিয়ে দিলেই সেই কাজ তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।”
তাঁর অভিযোগ, একটা ১০ লাখের টেন্ডার হলে কাজ হয় ৬ লাখ টাকার বাকি টাকা কাটমানিতে চলে যায়। এমনকি আবাস যোজনাতেও দুর্নীতি হচ্ছে। যাদের খুব দরকার তারা পাচ্ছে না। কিন্তু তিনতলা বাড়ির লোকেরা পেয়ে যাচ্ছে। গরীবের হকের টাকা কাউন্সিলররা তাদের কাছের লোকেদের তিনতলার ছাদ করার জন্য দিচ্ছে। এরকমই বার্ধক্য ভাতা বা বৃদ্ধ ভাতার ক্ষেত্রেও হচ্ছে। তৃণমূলের কাউন্সিলরদের প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষের হচ্ছে না। তবে কাট মানি খাওয়ায় জন্য উনারা কিছু কিছু কাজ করেন।
করোনা কালে জলপাইগুড়ি পুরসভায় প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে কোটি কোটি টাকার বিল বানানো হয়েছে। বাঁশের ঘেরা লাগিয়েও কোটি কোটি টাকার বিল বানানো হয়েছে। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা নিজের টাকায় ত্রান বিলি করেছে, সেখানে তৃণমূলের নেতা কাউন্সিলররা রেশনের চাল চুরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টিকার লাগিয়ে ত্রান বিতরণ করছেন। ” তৃণমূলের প্রতিটা কাউন্সিলর এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এরকম বহু অভিযোগ শোনা যায় পুরসভার বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির অলিতে গলিতে বহু মানুষের অভিযোগ, “যেকোনো কাজের জন্য গেলে দিনের পর দিন হয়রানি হতে হয় মানুষকে কিন্তু টাকা দিলে পুরসভার কাজ তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। মনোজবাবু বলেন, “আমরা ২৫ টা ওয়ার্ডেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী দিয়েছি।
সব জায়গায় মানুষের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে ভালো। আমরা ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিমুক্ত পুরসভা গঠন করবো এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষকে পরিষেবা দেবো।