বড় আকাশগঙ্গার খোঁজ মিলেছে, সেটি ৪০ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা

আমাদের এই ইউনিভার্স ১৩৮০ কোটি বছরের পুরনো। এর মধ্যে পদে পদে বিস্ময়। তবে সাম্প্রতিক এক বিস্ময়ে স্রেফ হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। হতবাক সাধারণ মানুষও। খোঁজ মিলেছে স্পেসের ‘দ্য বিগেস্ট সিঙ্গল এনটিটি’র। সেটি হল ‘হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল’। এটিকেই এখনও পর্যন্ত মহাকাশের সব চেয়ে বড় বস্তু বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। কত বড় এটি? শুধু একটি হিসেব শুনলেই মাথা ঘুরে যাবে। এই ‘হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল’কে অতিক্রম করতে আলো সময় নেয় ১০০০ কোটি বছর!
মহাকাশ মানেই অবশ্য সব বড়সড় ব্যাপার। আর আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীই আমাদের কাছে ঢের বড় ব্যাপার। কিন্তু মহাকাশের নিরিখে পৃথিবী একটা সামান্য ব্যাপার। বৃহস্পতি হল এক দৈত্য গ্রহ। যার মধ্যে ১৩০০ পৃথিবী ঢুকে পড়তে পারে! আবার এহেন বিপুল বৃহস্পতি সূর্যের কাছে সামান্যই। সূর্য আক্ষরিক অর্থেই এক বিপুল ব্যাপার। অথচ, এই সূর্যও এক অতি সামান্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ‘ইউওয়াই স্কুটি’র মতো অতিদৈত্যাকার এক নক্ষত্রের কাছে। এর মধ্যে ১৭০০ সূর্য ধরে যায়! এটি সূর্যের ৩০ গুণ। কিন্তু এই ‘ইউওয়াই স্কুটি’ ব্ল্যাকহোলের কাছে স্রেফ নস্যি। ব্ল্যাকহোল এক সুপারম্যাসিভ জিনিস।
আর এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা সব চেয়ে বড় যে ব্ল্যাকহোলের সন্ধান মিলেছে, সেটি হল ‘এনজিসি ৪৮৮৯’। এটি আমাদের সূর্যের চেয়ে কয়েকশো গুণ ভারী। ভারীত্বই এর বিশালত্ব। কিন্তু এ সবের চেয়েও গ্র্যান্ড ব্যাপার হল ওই হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল। আমাদের আকাশগঙ্গা রয়েছে এরই মধ্যে! আকাশগঙ্গা ১ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা।
তবে সব চেয়ে বড় যে আকাশগঙ্গার খোঁজ মিলেছে, সেটি ৪০ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা। এই সব হিসেবনিকেশ থেকে এটা অতএব স্পষ্ট যে, এই হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল কী বিশাল বিপুল বস্তু! এটি আসলে দুটি নক্ষত্র ও তাদের মধ্যেকার স্পেসকে নিয়ে একটি কম্পোজিট বডি। অন্যভাবে বললে, এটি হল অনেকগুলি গ্যালাক্সির পুঞ্জ। পোশাকি ভাষায় ‘সুপারক্লাস্টার অফ গ্যালাক্সিজ’।