বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রেমিক ‘ধরে-বেঁধে’ এনে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁর সঙ্গেই ওই যুবতীর বিয়ে দিল পুলিস

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
news-image

পুলিস যখন অভিভাবক! আইনের রক্ষক পুলিসকে এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ এক অন্য ভূমিকায়। দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠতার পর বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেছিল প্রেমিক। বেগতিক দেখতেই সোজা প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন যুবতী। শেষমেশ ‘অভিযুক্ত’ প্রেমিক ‘ধরে-বেঁধে’ এনে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁর সঙ্গেই ওই যুবতীর বিয়ে দিল পুলিস।

এমনই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর গ্রামে। রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে কুমেদপুর পুলিস আউটপোস্ট প্রাঙ্গণে অনাথ ওই যুবতীর বিয়ে দিলেন পুলিস কর্তারা।  জানা গিয়েছে, সোনাদেবী সিং নামে ওই যুবতীর বাড়ি  বিহারের কাঠিয়ার জেলায়। অন্যদিকে প্রেমিক শঙ্কর সাহানির বাড়ি দ্বারভাঙা জেলায়। দু’জনই মালদার কুমেদপুর এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

একই জায়গায় কাজ করার সুবাদে ২৩ বছরের যুবতী সোনাদেবীর সঙ্গে বছর পঁচিশের যুবক শঙ্কর সাহানির প্রণয়ের সম্পর্ক  গড়ে উঠেছিল। সোনাদেবীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠতার পরেও বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেন প্রেমিক শঙ্কর। বিয়ের জন্য চাপ দিতেই সে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন সোনাদেবী সিংয়ের সঙ্গে। তখনই ২৩ বছরের অনাথ ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে এরপরই ওই যুবককে থানায় ‘ধরে’ নিয়ে আসা হয়।

তারপরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস ও অন্যান্য পুলিস  আধিকারিকদের উদ্যোগে থানা প্রাঙ্গণেই তৈরি করা হয় বিয়ের মন্ডপ। আনা হয় ডিজে ব্যান্ড পার্টি। এরপরে রীতিমতো মালাবদল করে থানা প্রাঙ্গণেই ওই যুবতীর বিয়ে দেওয়া হয় ‘অভিযুক্ত’ যুবকের সঙ্গে। তারপর স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়েও যুগলের বিয়ে দেওয়া হয়। নজিরবিহীন এই ঘটনায় হতবাক সবাই। পুলিসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।-zee24