বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২০ কেজি সোনা দিয়ে তৈরি মূর্তি, ৫ ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী ওই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ৩১, ২০২২
news-image

আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই গোটা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হবে ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’র আবরণ। ২১৬ ফুটের এই মূর্তিটি একাদশ শতাব্দীর সাধক ও দার্শনিক সন্ত রামানুচার্যের। এটিই হতে চলেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূর্তি।

হায়দরাবাদের কাছেই শামশাবাদে ৪৫ একর জমির উপরে স্থাপিত এই মূর্তিকে ঘিরে এখন থেকেই তুমুল কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন। ওইদিন রামানুচার্যের ১০০৩তম জন্মবার্ষিকী। তাই ওই দিনটিকেই বেছে নেয়া হয়েছে উদ্বোধনের জন্য।

এই প্রকল্পটি ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামী যে মন্দির স্থাপন করেছেন, সেখানেই স্থাপন করা হবে মূর্তিটি। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। চলবে ২ সপ্তাহ। যাগযজ্ঞের মাধ্যমে বিপুল সমারোহের অনুষ্ঠানে মোদির পাশাপাশি থাকবেন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। থাকবেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও চিন্না জিয়ার স্বামী।

জানা গিয়েছে, এই মূর্তিটি পঞ্চলোহায় নির্মিত। কী এই পঞ্চলোহা? আসলে এটি পাঁচ ধাতুর মিশ্রণ। সেগুলি হল- সোনা, রুপো, তামা, পিতল, দস্তা। মূর্তির চারপাশে ১০৮টি কালো পাথরে খোদাই করা ছোট মন্দিরও থাকবে। ভিতরের কক্ষে থাকবে আরও একটি মূর্তি। সেটি তৈরি হয়েছে ১২০ কেজি সোনা দিয়ে।

কে সন্ত রামানুচার্য? তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে ১০১৭ সালে জন্ম তার। রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন গোঁড়া। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন তিনি। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, লিঙ্গ, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, সকলের মধ্যেই ঈশ্বর রয়েছেন। তার সেই মুক্তমনা বাণীকে সকলের কাছে তুলে ধরতেই মোদি সরকার ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’র পরিকল্পনা করেছিল।