কুলতলিতে দক্ষিণরায়কে আয়ত্তে আনতে তৎপর বন দফতর

গ্রামের চারপাশে বাঘের পায়ের ছাপ। ভয়ে নদীতে যেতে পারছেন না কেউ। বাড়ি থেকে বের হওয়া দায়! আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন কুলতলির গ্রামবাসীরা। বাঘ ধরতে প্রস্তুত বন দফতর।
২৪ ডিসেম্বর এলাকায় বাঘ দেখতে পান কয়েকজন। এরপর বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
রবিবার সকালেও এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। ডোঙাজোড়া এলাকার শেঠ পাড়ার জঙ্গলে পিয়ালি নদীর তীরে দক্ষিণরায়কে দেখা যায়।
বাঘ ধরার জন্য বন দফতরের তরফে ডেকে আনা হয় মোতালেফ মোল্লাকে। তবে হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে তিনিও আহত হন। তাঁর চিকিৎসা করা হয়।
রবিবার ফের বাঘের খোঁজ পাওয়ায়, দক্ষিণরায়কে আয়ত্তে আনতে তৎপর বন দফতর। ইতিমধ্য়ে লোকালয়ের দিকটা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলে বসানো হয়েছে দুটো খাঁচা। টোপ হিসেবে ছাগল আনা হয়েছে।
কেল্লার জঙ্গলে মাচা বেঁধেছেন বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি মেরে বাঘটিকে কাবু করতে সেখানে প্রস্তুতি সেড়ে ফেলেছেন তাঁরা। জেনারেটর দিয়ে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, অনেকটা জায়গা জুড়ে জাল ফেলা হয়েছে। বাঘ যাতে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সকলকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আহত ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নেবে বলেও জানান বনমন্ত্রী। জলপথেও নজরদারি চলছে বলে জানান বন দফতরের এক আধিকারিক।
গভীর জঙ্গলে খাবারের অভাব হওয়ায়, বাঘটি লোকালয়ে চলে এসেছেন বলে অনুমান। সম্ভবত অনেকদিন ধরে বাঘটি পুরো খাবার পায়নি।-zee24