বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মঙ্গল গ্রহের গিরিখাতে জল থাকতে পারে, ধারণা বিজ্ঞানীদের

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
news-image

গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ গিরিখাত নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গল গ্রহেও গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো গিরিখাত রয়েছে। তাঁদের ধারণা, এ গিরিখাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জল থাকতে পারে। মঙ্গল গ্রহকে ঘিরে প্রদক্ষিণরত একটি নভোযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা এ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।  এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার নামের এই নভোযান ২০১৬ সালে মহাকাশ সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও রসকসমস যৌথভাবে পাঠিয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মঙ্গল গ্রহের ভ্যালেস মেরিনারিস নামের অঞ্চলটিতে জল শনাক্ত হয়েছে। গিরিখাতটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে ১০ গুণ দীর্ঘ, ৫ গুণ গভীর ও ২০ গুণ প্রশস্ত। এ গিরিখাতের পৃষ্ঠের নিচেই রয়েছে জল।

এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটারের ফাইন রেজল্যুশন এপিথার্মাল নিউট্রন ডিটেক্টর (ফ্রেন্ড) যন্ত্রে এ পানি শনাক্ত হয়। যন্ত্রটি মঙ্গলের মাটির উপরিভাগে হাইড্রোজেন মাপতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মঙ্গলের বেশির ভাগ জল গ্রহটির মেরু অঞ্চলে অবস্থিত ও তা বরফ হিসেবে জমে রয়েছে। ভ্যালেস মেরিনারিস অঞ্চলটি গ্রহটির বিষুবরেখার ঠিক দক্ষিণে, যেখানে তাপমাত্রা সাধারণত জলকে বরফে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট ঠান্ডা হয় না।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করেছে নভোযানটি। এর আগে নভোযানটি মঙ্গলপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করে এর ধুলার নিচে সামান্য জলের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিল। গত বুধবার গবেষণাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ইকারাস সাময়িকীতে। গবেষণা নিবন্ধের লেখক ও ফ্রেন্ড নিউট্রন টেলিস্কোপের প্রধান গবেষক ইগর মিত্রোফানোভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ট্রেস গ্যাস অরবিটার দিয়ে আমরা ধুলাময় স্তরের এক মিটার নিচ পর্যন্ত দেখতে পারি।

মঙ্গলের পৃষ্ঠের নিচে কী ঘটছে, তা দেখে জলাধার শনাক্ত করে পারি। আগের যন্ত্রপাতিতে তা করা সম্ভব ছিল না। বিশাল ভ্যালেস মেরিনারিস গিরিখাতে অস্বাভাবিক পরিমাণ হাইড্রোজেনসহ একটি এলাকা শনাক্ত করেছে ফ্রেন্ড নিউট্রন। এ হাইড্রোজেন জলের অণুতে আবদ্ধ রয়েছে। এই অঞ্চলের কাছাকাছি পৃষ্ঠের ৪০ শতাংশ উপাদান জলীয় বলে মনে হয়।’