শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নদী গর্ভে তলিয়ে গেল অসংখ্য বাড়ি, আতঙ্ক এলাকায়

News Sundarban.com :
অক্টোবর ৮, ২০২১
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং – আচমকা নদীবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ২০ টির ও বেশী বাড়িঘর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী গ্রামপঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর গ্রামে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ সুন্দরবনের হোগল নদীতে জোয়ার চলছিল।কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নদীবাঁধ ভেঙে গিয়ে গোটা রাধাবল্লভপুর গ্রাম গ্রাস করে ফেলে নদীর লবণাক্ত জল। হুড়মুড়ি করে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়িঘর।আচমকা এমন ঘটনা জানতে পেরে কোন রকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন লোকজন।অনেকেই আবার ঘুমন্ত অবস্থায় নদীর জোয়ারের জলে ভেসে যেতে থাকে। স্থানীয়রা প্লাসটিকের ড্রাম ফেলে তাদের কে উদ্ধার করে।ঘটনায় কোন হতাহতের খবর না থাকলেও এলাকার মানুষের বাড়িঘর সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ সমস্ত কিছুই নদীগর্ভ গ্রাস করে নিয়েছে। এলাকার মানুষজন কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন সর্বগ্রাসী হোগল নদীর দিকে।

স্থানীয় মানুষজনের দাবী ঘটনা রাতের দিকে ঘটনা ঘটলে প্রচুর মানুষের সলিল সমাধি ঘটতো।সেদিক দিয়ে বাঁচোয়া। প্রায় ঘন্টা চারেক পরও প্রশাসনের লোকজনদের ঘটনাস্থলে আসলেও কোন উদ্ধার কাজে হাত লাগায়নি।

বরং সর্বহারা মানুষজন নদীরপাড়ে পড়ে থাকা সামান্য জিনিজপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।পুনরায় আবার বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে এমন বাড়ি গুলো থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন দুর্গতরা।পাশাপাশি নদীতে জোয়ার থাকায় আরো বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায়।এছাড়াও আরো বেশকিছু বাড়িঘর ভেঙে পড়ার আশাঙ্কা রয়েছে।রহিমা মন্ডল,আজারুল লস্কর,অজয় দাস, আনসার সেখ,মহিনউদ্দিন আনসারী,সফিকুল মল্লিক,কোহিনুর খান রা সমস্ত কিছু হারিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন সরকারী ত্রাণ শিবিরে। তাদের দাবী দীর্ঘদিন ধরেই নদীবাঁধের অবস্থা বেহাল।বাঁধ সারাইয়ের জন্য প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।অবিলম্বে নদীবাঁধ কংক্রীটের তৈরী করার দাবী জানাচ্ছি।

অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল নেতা মন্টু গাজী ঘটনার খবর পেয়েই মুহূর্তে হাজীর হন ঘটনাস্থলে। তিনি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেন।

বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন ‘ওই এলাকার নদীবাঁধ শক্তপোক্ত করার জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে।অনেকদিন আগেই নদীর পাড় থেকে সকল কে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। কেউ সরে যায়নি। এছাড়াও নদীবাঁধ ভেঙে যেতে পারে তার জন্য এলাকাবাসীদের বৃহষ্পতিবার সতর্ক করা হয়েছিল।শুক্রবার সকালে নদীবাঁধ ভেঙে ১৬ টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে আসবাবপ্ত্র সহ।বর্তমানে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ চলছে। দুর্গতের সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারী ভাবে